বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সাবমেরিন
কাজান বা কে-৫৬১। এটি একটি রুশ সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজের নাম। চলতি বছরেই এই সাবমেরিনটি রুশ নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হবে। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে শক্তিশালী ওই সাবমেরিনটি উন্মোচন করে পুতিন সরকার। দেশটির পরমাণুবিদদের দাবি এটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যাটাক সাবমেরিন।
ইতোমধ্যেই রাশিয়ার অত্যাধুনিক পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন 'কাজান'কে পানিতে নামানো হয়েছে। রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর সেভারোদভিসিস্কে ইয়াসেন এম শ্রেণির ডুবোজাহাজ কাজানের সমুদ্রে নামানোর অনুষ্ঠানটি করা হয়। সাগরে পরীক্ষা শেষ করার পর চলতি বছরে রুশ নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হবে কাজান।
নতুন এই সাবমেরিন হাতে পাওয়ার পর সাগরে টহল দেওয়ার ক্ষেত্রে রুশ নৌবাহিনী প্রাক্তন সোভিয়েত আমলের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন রুশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল ভ্লাদিমির কোরোলেভে। এ ছাড়া, একই শ্রেণির আরও চারটি ডুবোজাহাজ ২০২৩ সালের মধ্যে তৈরি করা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাশিয়ান নৌবাহিনী প্রধান।
রুশ নৌবাহিনীর প্রচলিত ডুবোজাহাজ বাহিনীর পুরনো 'আকুলা শ্রেণির ডুবোজাহাজের স্থলাভিষিক্ত হবে ইয়াসেন এম শ্রেণি। এতদিন আকুলা শ্রেণিকে রুশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাটাক সাবমেরিন হিসেবে গণ্য করা হত।
রাশিয়ার নতুন এ সাবমেরিন ৩১ কিলোনট বেগে চলতে পারে। এতে তিনশ টর্পেডো ও অন্যান্য অস্ত্র সজ্জিত করার ব্যবস্থা রয়েছে। রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, নতুন এ সাবমেরিন শত্রুপক্ষের সাবমেরিনকে ধ্বংস করতে পারে। এছাড়া এটি জাহাজ, নৌঘাটি ও বন্দর ধ্বংস করতে সক্ষম। এতে ৯০ জন ক্রু থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া সাবমেরিনটি পানির ৬০০ মিটার নিচে নামতে পারে। বাইরের কোনো সহায়তা ছাড়া এটি ১০০ দিন পানির নিচে থাকতে পারে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.