রহস্য উন্মোচন হল মাইকেল জ্যাকসনের সেই ‘মুনওয়াক’ নাচের
মাইকেল জ্যাকসন। এই মার্কিন সঙ্গীতশিল্পীকে পপ সঙ্গীতের 'রাজা' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। একই সঙ্গে তিনি একজন নৃত্যশিল্পী, গীতিকার, অভিনেতা, সমাজসেবক এবং ব্যবসায়ী ছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বহুল বিক্রিত এলবামের সঙ্গীত শিল্পীদের তিনি অন্যতম।
মাইকেল জ্যাকসনের ভক্তরা অনেকেই অবাক হতেন যে, কিভাবে তিনি সামনের দিকে এতটা ঝুঁকে পড়ে নাচতেন। আবার ফেরত আসতেন স্বাভাবিকভাবেই।
সেই রহস্যকে সম্প্রতি গবেষকরা ভেদ করেছেন। অাজ মাইকেল জ্যাকসন নেই, তাই বলে "মুনওয়াক" নাচের কথা ভোলেনি কেউ। এমন অভাবনীয় নাচকে মানুষ যে যুগ যুগ ধরে মনে রাখবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। যেসব গানের সঙ্গে ৪৫ ডিগ্রি কোণে বাঁকা হয়ে নেচেছিলেন মাইকেল জ্যাকসন তার মধ্যে ‘স্মুথ ক্রিমিনাল’ গানটি অন্যতম। এতে যেন মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকেই পরাজিত করেছেন।
তিনি অভূতপূর্ব এ নাচের পেটেন্ট ১৯৯২ সালে করে নেন। তাঁর এ নাচ দেখে দর্শকেরা বিস্মিত হয়েছিল। এ নাচটি ছিল অসাধারণ সুন্দর এক বিভ্রম। বিখ্যাত এ নাচের ধরন টি ‘মুনওয়াক’ নামেই বেশি পরিচিত।
মাইকেলের ভক্তরা তার সেই কৌশল রপ্ত করার বহু চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কেউই এখনও এ কাজটি করতে সক্ষম হননি। খুব দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নর্তকরা নাচের সময় ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত সামনে ঝুঁকতে পারে। কিন্তু ৪৫ ডিগ্রি কোণে ঝুঁকাটা একেবারেই অসম্ভব।
সম্প্রতি মাইকেল জ্যাকসনের ভক্ত নিশ্যান্ত ইয়াগনিক সহ অারোও তিনজন নিউরোসার্জন মাইকেল জ্যাকসনের সেই অদ্ভুত নাচের কৌশল নিয়ে গবেষণা করেন।
গবেষকরা বলছেন, এ নাচের জন্য মাইকেল ব্যবহার করেছেন বিশেষ ধরনের হুকওয়ালা জুতো। এ হুকওয়ালা জুতো মঞ্চের সঙ্গে শরীরকে ৪৫ ডিগ্রি কোণে আটকে রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ কৌশলে সঠিক সময়ে সেই হুকটি মঞ্চ থেকে উঁচু করা হত। পরে আবার তা নিচু করে দেওয়া হত।
তবে মাইকেলের সেই নাচটির কৌশল মোটেই সহজ ছিল না। এভাবে ঝুঁকে নাচার ফলে মেরুদণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। আর মাইকেলের মতো দক্ষ ব্যক্তির পক্ষেই এই কঠিন কাজটি করা সম্ভব হয়েছিল।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.