বিচিত্র চার মৃত্যু
মৃত্যু অবধারিত। 'জন্মিলেই মরিতেই হইবে'। বিচিত্র চার মৃত্যু নিয়ে আজকের আয়োজন:
১. এলিয়েজার ম্যাকাবিয়াস
সেলেয়ুসিড ও সিরিয়ার শাসকদের বিরুদ্ধে জিউশদের ম্যাকাবিয়ান বিদ্রোহের সৈনিক ছিলেন এলিয়েজার ম্যাকাবিয়াস। যুদ্ধের সময় ম্যাকাবিয়াস যুদ্ধে নামেন এক যোদ্ধা হাতির সঙ্গে। তিনি ভেবেছিলেন ওই হাতির পিঠে সেলেয়ুসিড রাজা এন্টিওকাস ফাইভ বসে ছিলেন। রাজার চারদিক বিশেষ বর্ম দিয়ে ঘেরা ছিল। তাই তিনি হাতিকেই আক্রমণ করেন। তিনি ধারালো বর্শা হাতির পেটে গেঁথে দেন। এর ফলে হাতি মারা যায় ঠিকই কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এটি পড়ে যায় ম্যাকাবিয়াসের ওপর। ফলে হাতির নিচে চাপা পড়ে মারা যান তিনি।
২. জর্জ রিচমান
রিচম্যান ছিলেন একজন জার্মান ডাক্তার ও বিজ্ঞানী। তবে থাকতেন রাশিয়ায়। যে বছর বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন উড্ডয়ন যন্ত্র তৈরি করেন তার পরের বছর ১৭৫৩ সালে তিনি অনেকটা ঘুড়ির মতো একইরকম আরেকটি যন্ত্র তৈরি করেন। একদিন একাডেমি অব সায়েন্সের এক সভায় তিনি অংশগ্রহণ করছিলেন। সেসময় বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পান। দৌড়ে যান বাসায়। বজ্রপাতকে কাছ থেকে দেখার আশায় তার উড্ডয়ন যন্ত্র নিয়ে আকাশে ওড়েন। তার গবেষণা বা পর্যবেক্ষণ যখন চলছিল তখন বিদ্যুৎ চমকায় এবং তার মাথায় বজ্রপাত আঘাত হানে। তিনি মারা যান। কী ভয়ানক দুঃসাহস ছিল তার ভেবে অবাক হতে হয়।
৩. কেনজি উরাদা
৩২ বছর বয়সী কেনজি এক জাপানিজ প্ল্যান্টে ভাঙা রোবট মেরামত করছিলেন। রোবট মেরামতের পর তিনি রোবট বন্ধ করতে ভুলে যান। রোবটটি জেগে উঠে তার হাইড্রোলিক হাত দিয়ে কেনজিকে গ্রিন্ডিং মেশিনে ফেলে দেয়। মারা যান কেনজি। রোবটের হাতে মৃত্যু কিন্তু এটিই প্রথম নয়। এর আগে রবার্ট উইলিয়াম রোবটের আঘাতে মারা যান।
৪. এম্পিডোক্লেস
সক্রেটিসের আগের দার্শনিক এম্পিডোক্লেস সিসিলির মাউন্ট এটনার জীবন্ত আগ্নেয়গিরিতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। এর কারণ ছিল তার অমর হওয়ার আকাক্সক্ষা। তিনি ভেবেছিলেন আগ্নেয়গিরিতে ঝাঁপ দেয়ার পর তার শরীর আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এতে লোকে ভাববে তিনি ঈশ্বর, মানুষের মনে অমর হয়ে থাকবেন তিনি। কিন্তু মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক। অপ্রত্যাশিতভাবে আগ্নেয়গিরি তার পুড়ে যাওয়া কঙ্কাল ফেরত দিল। বিফল হল তার ঈশ্বর হওয়ার আকাক্সক্ষা
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.