কলসী গাছ, যে গাছ মাংস খায় !
আমাদের এই পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতের গাছ আছে। এই সকল গাছের মধ্যে কোন গাছ উপকারি, কোন গাছ অপকারি আবার কোন গাছ সামান্য হলেও ভয়ংকর। তেমনই একটি গাছ হচ্ছে নেপেন্থেস অ্যাটেনবারোওঘি।এই গাছটির নাম কি আপনি কখনও শুনেছেন? হ্যাঁ, এই গাছটি অন্য সকল গাছ থেকে আলাদা। কারণ, এই গাছটি হচ্ছে ভয়ংকর মাংসাশী গাছ।
গাছটি দেখতে যত সুন্দর আর নিরীহই হোক না কেন, গাছটি আসলে একটি মাংসাশী গাছ। নানা কীটপতঙ্গ, এমনকি বড় বড় ইদুর পর্যন্ত গিলে খায় এটি। আঞ্চলিক রীতি মতো এই গাছটি কলসী গাছ নামেও পরিচিত। কেননা এটি দেখতে অনেকটা কলসীর মতো।
আর এই কলসীর ভেতর লাল রঙের মধুর মতো এক ধরনের তরল পদার্থ থাকে। যেখানে মধু সেখানে পোকা-মাকড় আসারই কথা। এই কলসীর মতো কাঠামোর মধ্যে যখন কোনো পোকা-মাকড় মধু খেতে আসে তখন পা পিছলে এর ভেতরে পড়ে যায় এবং এটির ওপরে একটা ঢাকনা থাকায় পোকা ভেতরে পড়া মাত্রই ঢাকনা বন্ধ হয়ে যায়।ফাঁদের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পরই পাতার ভেতর থেকে এক ধরণের তরল পদার্থ বেরিয়ে আসে।
তরলের মধ্যে মাকড়সাটি ডুবে যায়। এ তরল পদার্থের মধ্যে থাকে পরিপাকে সাহায্যকারী এনজাইম । এগুলো মাকড়সার দেহটিকে এমন অবস্থাতে পরিণত করে ফেলে যা থেকে উদ্ভিটটি সহজেই পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করতে পারে। এনজাইম যত বেশি পারিমাণে আসে মাকড়সার মৃতদেহের নরম অংশগুলোও ততই ধীরে ধীরে গলতে থাকে।
৮/১০ দিন পর মাকড়সাটির দেহের অংশগুলো নাইট্রোজেনসমৃদ্ধ তরল পদার্থে পরিণত হয় যা উদ্ভিদ দ্বারা শোষিত হয়ে যায়। মৃতদেহের যেসব শক্ত অংশগুলো উদ্ভিদটি হজম করতে পারেনি সেগুলো ফাঁদটি খুলে বের করে দেয়। ফাঁদ আবার আগের মত পেতে রাখা হয়। নষ্ট হয়ে যাবার আগে একটি ফাঁদ অন্তত তিনবার শিকার ধরে ফাইট্র্যাপ গাছকে সহায়তা করে।
আবার কিছু মাংসখেকো উদ্ভিদের পাতা কিংবা ফুলে রয়েছে আঠা । পোকামাকড় কিংবা ব্যাং এই আঠার উপর বসলে আর উঠতে পারেনা । গাছটা ধীরে ধীরে ওকে খেয়ে ফেলে ।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.