ধুয়ে ফেলুন ফুসফুস!
কাপড় হলে তো সাবান দিয়ে ধুয়ে দিলেই হতো। কিন্তু ফুসফুস তো আর কাপড় নয়। তাই এটা ধোয়ার কায়দাটাও আলাদা। ধূমপান, প্রতিদিনকার ধূলো, ধোঁয়া শরীরের এ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটিকে ময়লা করে দিচ্ছে। জমা হচ্ছে বিষাক্ত পদার্থ। ধূমপানের কারণে ফুসফুসে ক্যানসারও হতে পারে। ধূলো-ধোঁয়ামুক্ত পৃথিবীতো চাইলেই গড়া যাবে না। মাস্ক ব্যবহারে কিছুটা কমানো যায়। তবে ধূমপান তো ছেড়ে দেওয়া যায়ই, দরকার শুধু মনোবল। তবে যারা ধূমপান ছাড়তে পারছেন না বা চাইছেন না তারা ফুসফুসটাকে আরও কিছুদিন ভালো রাখতে কয়েকটি কাজ করতে পারেন।
লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে পুদিনা পাতা ফুসফুস পরিস্কারে সাহায্য করে। তাই খাদ্য তালিকায় পুদিনা পাতা রাখুন। পুদিনা পাতায় যে উপাদান রয়েছে তা ফুসফুসের যেকোনো সংক্রমণের সাথে লড়াই করে।
খাদ্যতালিকায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। এ দুটি উপাদান প্রাকৃতিকভাবেই ফুসফুস পরিষ্কার করে। তাই আনারসের জুস নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখুন। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি।
ধূমপায়ীদের ফুসফুস পরিষ্কারে সাহায্য করে আদা। প্রতিদিন এক টুকরো আদা চিবুলে শ্বাসতন্ত্র ও ফুসফুস থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়।
ফুসফুসকে পরিষ্কার করতে গাজরের জুস পান বেশ সাহায্য করে। প্রতিদিন দুই বেলা এই জুস খেলে ফুসফুস পরিষ্কার থাকে।
প্রতিদিন লেবুর শরবত খেলে ফুসফুস শক্তিশালী হয় এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়।
প্রতিদিন গ্রিন টি পান ফুসফুসকে পরিষ্কার করে। এছাড়া গ্রিন টি অন্ত্রের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
গভীর শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে ফুসফুস শক্তিশালী হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে ফুসফুস পরিষ্কার হয়।
তবে শেষ কথা হচ্ছে- ফুসফুসকে একেবারে পরিষ্কার করতে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার বিকল্প নেই।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.