সকল সরকারী অাধা সরকারী সকল কর্মকর্তা- কর্মচারীদের টেলিটক সিম ব্যবহার করার বাধ্যতামূলক হওয়া উচিৎ!
টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড যার ব্র্যান্ড নাম "টেলিটক" বাংলাদেশের রাষ্ট্রয়াত্ত একটি মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের একটি জিএসএম ও থ্রিজি ভিত্তিক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল ফোন কোম্পানি। টেলিটক ২৯ ডিসেম্বর ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করে। এটা বাংলাদেশ সরকারের একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি। নভেম্বর ২০১৭ অনুযায়ী, টেলিটক বাংলাদেশের চতুর্থ বহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর যার গ্রাহক সংখ্যা ৪৪ লাখ ১৯ হাজার। কিন্তু হওয়ার কথা ছিল টেলিটক কে বাংলাদেশের প্রথম বা দ্বিতীয় মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। তবে কেন টেলিটকের এ অবস্থা? তাহলে অামরা সবাই কি খুব বেশি সার্থপর? নাকি অামরা দেশকে ভালবাসি না? না অন্য দেশের লোকদের থেকে অামাদের দেশ প্রেম কম? নাকি অামরা সচেতন নই?
উত্তরটা যাই হোক, অামাদের সদিচ্ছা থাকলে কাজটা অামরা করতে পারবো ১ বছরের মধ্যে। এখন মোবাইল নম্বর পোটেবিলিটি শুরু হওয়ায় এ কাজটা অনেক সহজ ও দ্রুত করা সম্ভব। মোবাইল নম্বর পোটেবিলিটি হল নম্বর অপরিবর্তীত রেখেই অাপনি গ্রামীন, বাংলা লিংক বা রবি থেকে টেলিটক মোবাইল ফোনে চলে অাসতে পারেন। ধরুন- ০১৭১১-১২৩৪৫৬ বা ০১৯১১-১২৩৪৫৬ অাপনার নম্বর, তাহলে অাপনি টেলিটকে যেতে চাইলে যেতে পারবেন। তখনও অাপনার নম্বর ০১৭১১-১২৩৪৫৬ বা ০১৯১১-১২৩৪৫৬ থেকে যাবে। তাই একটু ভালবাসা, একটু চেষ্টা, একটু দেশ প্রেম, একটু সদিচ্চা আমাদের মাঝে থাকলেই পারে টেলিটক কে বাংলাদেশের ১ নম্বর মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর করতে।
তাই চলুন না একটু সবা্চই মিলে চেষ্টা করে টেলিটকে বাংলাদেশের ১ নম্বর মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর করি। সে ক্ষেত্রে সরকার ও জনগন সবাইকে এগিয়ে অাসতে হবে।
যা করতে হবে অামাদের-
১. নিজের ও প্রিয় জনের দুটি সিমের একটি কে টেলিটকে সুইচ করা।
২. বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিত জনকেও টেলিটকে সুইচ করতে উৎসাহিত করা।
২. বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিত জনকেও টেলিটকে সুইচ করতে উৎসাহিত করা।
যা করতে হবে সরকারের-
৩. জনগনের মাঝে সচেতনতা তৈরী করে তাদের টেলিটকে সুইচ করতে উৎসাহিত করা।
৪. সকল সরকারী কর্মকর্তা- কর্মচারীদের টেলিটকে সুইচ করতে উৎসাহিত করা।
৫. প্রায় ২ থেকে ২.৫ লক্ষ সেনা সদস্য ও অফিসারদের টেলিটকে সুইচ করতে উৎসাহিত করা, নিঃসন্দেহে তারা সবচেয়ে দেশ প্রেমিক ।
৪. সকল সরকারী কর্মকর্তা- কর্মচারীদের টেলিটকে সুইচ করতে উৎসাহিত করা।
৫. প্রায় ২ থেকে ২.৫ লক্ষ সেনা সদস্য ও অফিসারদের টেলিটকে সুইচ করতে উৎসাহিত করা, নিঃসন্দেহে তারা সবচেয়ে দেশ প্রেমিক ।
৭. প্রায় ৫০ হাজার র্যাব সদস্য ও অফিসারদের টেলিটকে সুইচ করতে উৎসাহিত করা।
৮. প্রায় ৫০ হাজার বিমান বাহিনীর সদস্য ও অফিসারদের টেলিটকে সুইচ করতে উৎসাহিত করা।
৯. প্রায় ৫০ হাজার বিজিবি সদস্য ও অফিসারদের টেলিটকে সুইচ করতে উৎসাহিত করা।
১০. বড় বড় সব রাজনৈতিক দল ও তা সদস্যতের টেলিটকে সুইচ করতে উৎসাহিত করা।
তাছাড়া মেধাবী ও সকল সরকারী- বেসরকারী বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনা মূল্যে সিম বিতরণ ও টেলিটকে রুপান্তর বিনামূল্যে করা।
১১. টেলিটক কে অন্য মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মত মিনিট কার্ড প্রনয়ণ, MB দাম কমিয়ে মেয়াদ বাড়ানো, দক্ষ জনবল নিয়োগ করা।
১২. তাছাড়া নিয়মিত বিজ্ঞাপন ও কেম্পেইন করে প্রচারণা চালানো।
চলুন না অাপনি অার অামিই শুরু করি প্রথম দেশ প্রেমিক বাংলাদেশী হিসেবে নিজের সিমটিকে নম্বর পরিবর্তন না করে টেলিটকে সুইচ করি। তাই বলিছি- মানুষ বাঁচে অাশায় অার বাংলাদেশ বাঁচে আমাদের ভালবাসায়। অামি অামার ০১৭১১- .... কে টেলিটকে সুইচ করছি অার অাপনি?
লেখক- ইঞ্জিঃ অাল মেরাজ মোল্লা
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.