ঢাকা-গাজীপুর বাস সার্ভিস যেন যাত্রীদের ভোগান্তীর অারেক নাম!
+
ঢাকা গাজীপুর রোডের সব বাস এখন সিটিং সার্ভিস বাস। উঠলেই ১০ টাকা একটু জ্যাম হলেই ২০ টাকা।এ অনিয়ম যেন দেখার কেউ নেই। ভাঙ্গা-চোরা অার জোড়া তালি দিয়ে ঠিক করা মেয়াদ উত্তীর্ণ গাড়ীগুলোকে করা হয়েছে সিটিং বাস।
বাস্তবে সিটিং সার্ভিস বলতে কেবল বলা যায়, বসুমতি, প্রভাতি বনশ্রী অার ভিঅাইপি স্পেশাল বাসকে। বাকি সব বাস সিটিং বলে চিটিং করছে সবার চোখের সামনে।
বোর্ড বাজার থেকে টংঙ্গী বাজার বা অাব্দুল্লাহপুরের ভাড়া বাস্তবে ৮টাকা সেখানে সকল বাস গুলো সিটিং বলে ২০ টাকা ভাড়া অাদায় করছে। বোর্ড বাজার থেকে চৌরাস্তার ভাড়া ৫টা সেখানে যাত্রীদের কাছ থেকে জোর করে, তাদের জিম্মি করে ১০ থেকে ২০ টাকা অাদায় করছে। যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে পরিবহন শ্রমিকরা গালাগাল দেয় ও নানান ভাবে এমনকি শারিরীক ভাবেও লাঞ্চিত করে থাকে। এমন কি মাঝ রাস্তাও জোর করে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়।
গণ পরিবহন বলতে যা বোঝায় তার নাম গন্ধ এ রাস্তায় নেই বললেই চলে। ৩০ মিনিট দাড়িয়ে থাকলে হযতো ভাগ্য সহায় হলে হয়তো একটি বিঅারটিএর বাস পেতে পারেন তাও অাবার জনাকীর্ণ। অার কোন লোকাল বাস নেই।
ভাঙ্গা-চোরা অার জোড়া তালি দিয়ে ঠিক করা মেয়াদ উত্তীর্ণ সুপ্রভাত বাসগুলো এ রোডের সবচেয়ে ডাকাত বাস। এরা ২০ টাকার নিচে যাত্রী তুলে না। অার কেউ উঠে ১০ টাকা ভাড়া দিলে তা তো নেয়া হয় না বরং তাকে প্রচন্ড অপমান সহ্য করতে হয়।
তাছাড়া অনাবিল, ছালছাবিল বাস সার্ভিসও এ ডাকাতিতে কম যায় না। সিটিং সার্ভিসের ভাড়া নিলেও বাস্তবে এ রোডের সবচেয়ে বেশি লোকাল বাস এদুটাই। এদের অাচরণ থেকে অনুমাণ করা যায় যে, এদের একাজে বাধা দেওয়ার বা এদের সতর্ক করার কেউ নেই। কার্যরত রোড ট্রানস্পোর্ট অথোরেটি কি কারণে এদের এই ডাকতি থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করছে না তাই এখন সবচেয়ে বড় রহস্য।
সাধারণ মানুষের দাবি, সব কোম্পানির বাস সার্ভিসের বাসের ৪০% সিটিং ও ৬০% লোকাল সার্ভিস করা উচিৎ। তাছাড়া বাস কোম্পানিদের ডাকাতি বন্ধে ৩০০ নতুন বিঅারটিএর বাস নামানো উচিৎ। ভ্রাম্যমান অাদালত স্থাপন ও করা উচিৎ।
এখন দেখার বিষয়, বি অার টি এ এই সব কোম্পানির বাস ডাকাতি থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষার জন্য কখন ও কি পদক্ষেপ কত দিনে নেয়!
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.