আবারও তিমি হত্যায় নামছে জাপান
আগামী বছরের জুলাই থেকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নতুন করে তিমি শিকার শুরু করতে যাচ্ছে জাপান।
আন্তর্জাতিক মহলের ব্যাপক সমালোচনা উপেক্ষা করে এ কাজটি করতে যাচ্ছে তারা।
অনেক বছর ধরেই তিমি শিকার করে আসছে প্রশান্ত মহাসাগরের মালা জাপান। দেশটিতে তিমির মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
১৯৮৬ সালে বাণিজ্যিক উদ্দেশে তিমি শিকার নিষিদ্ধ করে তিমি সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইডব্লিউসি।
কয়েক প্রজাতির তিমি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় এ আইন করা হয়।
সে আইনের কারণে জাপানে তিমি শিকার অনেকটাই কমে আসে। কিন্তু হঠাৎ করে জাপান আবার তিমি শিকারের ঘোষণা দিল।
এ কারণে আইডব্লিউসি থেকে নিজেদের সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে দেশটি।
জাপানের প্রথম সারির এক দৈনিকে প্রকাশ, বর্তমানে জাপানে যত মাংস বিক্রি হয়, তার মধ্যে তিমির মাংসের পরিমাণ দশমিক ১ শতাংশ।
তারা জানিয়েছে, জাপানে তিমি শিকারের পর বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহারের পর এসব তিমি বাজারে বিক্রি হয়।
সূত্রমতে, বৈজ্ঞানিক গবেষণার অজুহাতে জাপান প্রতি বছর গড়ে ২০০ থেকে ১২০০ পর্যন্ত তিমি শিকার করে।
এ বিষয়ে জাপান বলছে, তিমি খাওয়া দেশটির সংস্কৃতির অংশ। যুগযুগ ধরে দেশটির উপকূলীয় অনেক অধিবাসীর পেশা তিমি শিকার।
এবার আইডব্লিউসির আইনের তোয়াক্কা না করে জাপান সরকারের নতুন এ ঘোষণায় বিলুপ্তপ্রায় মিংক প্রজাতির তিমিসহ সব ধরনের তিমি মাছ শিকার করতে পারবে।
জাপানের এমন ঘোষণার কঠোর সমালোচনা করে এর জন্য জাপানকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংরক্ষণবাদীরা।
এ বিষয়ে জাপান সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিহিদে সুগা জানিয়েছেন, তিমি শিকার জাপানের জলসীমা এবং দেশটির অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে সীমিত রাখা হবে। যে কারণে অ্যান্টার্কটিক জলসীমা ও দক্ষিণে তিমি শিকার করবে না জাপান।
অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশবাদী একটি সংগঠন হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল এ ঘোষণার কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, জাপান আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করছে।
আগামী বছরের জুন মাসে জি-টুয়েন্টি সম্মেলনের আয়োজক দেশ হিসেবে জাপান এ জন্য ব্যাপক সমালোচনার শিকার হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
প্রসঙ্গত, জাপান ছাড়াও নরওয়ে এবং আইসল্যান্ড তিমি শিকার করত। কিন্তু আইডব্লিউসির নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা আর তিমি শিকার করছে না।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.