বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী ও ধনী ১০ মুসলিম নারী
বিশ্বে মুসলিম ধনাঢ্য নারীর সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। আর যে কয়জন আছেন তাদের ধনী হওয়ার ক্ষেত্রেও নিজের পরিশ্রম ও চেষ্টার অবদান খুব একটা নেই বললেই চলে। দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী মুসলিম নারীদের সম্পদ আসে তিনটি উৎস থেকে : বিত্তশালী স্বামী, বাবা-মায়ের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ ও নিজের উপার্জন। চলুন জেনে নিই কারা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মুসলিম নারী-
১.প্রিন্সেস আমিরা আল-তাউয়িল, সৌদি আরব: প্রিন্সেস আমিরার জন্ম ১৯৮৩ সালের ৬ নভেম্বর। তার স্বামী প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালালের বয়স ৫৮; তিনি বিশ্বের ২৬ জন সবচেয়ে ধনি ব্যক্তিদের মধ্যে পড়েন।
২.মহারানি রানিয়া, জর্ডান: জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ ইল ইবন আল-হুসেনের স্ত্রী রানিয়ার জন্ম ১৯৭০ সালের ৩১ আগস্ট। আবদুল্লাহ রাজা হন ১৯৯৯ সালে।
৩.প্রিন্সেস হাজাহ হফিজা সুরুরুল বোলকিয়াহ: ব্রুনেই এর সুলতানের চতুর্থ কন্যা প্রিন্সেস হফিজার জন্ম ১৯৮০ সালের ১২ মার্চ তারিখে। তার পিতা সুলতান হাসানাল বোলকিয়াহকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনি ব্যক্তিদের মধ্যে গণ্য করা হয়। ব্রুনেই এর সুলতানের গাড়ির সংখ্যা ৭০০০ আর তার প্রাসাদে কামরার সংখ্যা ১৭০০।
৪.সুলতানাহ নুর জাহিরা, মালয়েশিয়া: রাজা আল ওয়াথিকু বিল্লাহ তুয়ানকু মিজান জয়নালের পত্নী সুলতানার জন্ম ১৯৭৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তারিখে। সুলতানাহ স্বয়ং ধনি পরিবারের সন্তান। পিতার কাছ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি পেয়েছেন জাহিরা।
৫.শেখা মোজাহ বিন্তি নাসের আল-মিসনদ, কাতার: শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানির দ্বিতীয় স্ত্রী শেখার জন্ম ১৯৫৯ সালে। ওর স্বামীর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় সাত বিলিয়ন পাউন্ড বলে কথিত।
৬.শেখা হানাদি বিন্তি নাসের বিন খালেদ আল থানি, কাতার: রিয়াল এস্টেট, পুঁজি বিনিয়োগ আর ব্যাংক ম্যানেজারি থেকে শেখা হানাদির অর্জিত সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৫ লিবিয়ন ডলার বলে শোনা যায়। তিনি নিঃসন্দেহে কাতারের সবচেয়ে ধনি নারীদের মধ্যে গণ্য।
৭.প্রিন্সেস লাল্লা সালমা, মরক্কো: প্রিন্সেস লাল্লার জন্ম ১৯৭৮ সালের ১০ মে। পিতা ছিলেন পেশায় শিক্ষক। লাল্লার বিবাহ হয় মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদের সঙ্গে। দুই সন্তানের জননী সালমার পতির সম্পত্তির পরিমাণ আড়াই বিলিয়ন ডলার বলে মনে করা হয়ে থাকে।
৮.শেখা মায়থা বিন্তি মোহাম্মেদ বিন রশিদ আল-মখতুম, দুবাই:
২০০৬ সালের এশিয়ান গেমসে দেখা যাচ্ছে শেখা মায়থাকে; এখানে তায়কন্ডোতে রৌপ্যপদক জেতেন তিনি। মায়থার জন্ম ১৯৮০ সালের ৫ মার্চ। পিতা শেখ মুহাম্মদ বিন রশিদ আল মখতুম সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও পরে প্রেসিডেন্টের পদ অলঙ্কৃত করেছেন। শেখ মুহাম্মদ দুবাই এর আমির।
২০০৬ সালের এশিয়ান গেমসে দেখা যাচ্ছে শেখা মায়থাকে; এখানে তায়কন্ডোতে রৌপ্যপদক জেতেন তিনি। মায়থার জন্ম ১৯৮০ সালের ৫ মার্চ। পিতা শেখ মুহাম্মদ বিন রশিদ আল মখতুম সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও পরে প্রেসিডেন্টের পদ অলঙ্কৃত করেছেন। শেখ মুহাম্মদ দুবাই এর আমির।
৯.প্রিন্সেস মজিদা নুরুল বোলকিয়াহ, ব্রুনেই:
প্রিন্সেস মজিদা নুরুল বোলকিয়াহ ব্রুনেই এর সুলতান হাসানাল বোলকিয়াহর দ্বিতীয় পুত্রী। তার জন্ম ১৯৭৬ সালের ১৬ মার্চ। খায়রুল খলিলের সঙ্গে বিবাহ হয় ২০০৭ সালে। খলিলও রাজপরিবারের সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে কাজ করেছেন।
১০. প্রিন্সেস ফাতিমা কুলসুম জোহার গোদাবাড়ী, সৌদি আরব: প্রিন্সেস ফাতিমা কুলসুম জোহার সৌদি আরবের রাজ পরিবারের রানী।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.