প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সম্পর্কে জানা-অজানা কিছু তথ্য
অবশেষে গান্ধী পরিবারের আরেক সদস্য ভারতের রাজনীতিতে সক্রিয় হলেন। তিনি রাজীব গান্ধীর কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সাধারণ মানুষ তার মধ্যে দাদি ইন্দিরা গান্ধীর ছায়া দেখতে পান। চলুন জেনে নিই তার জীবনের কিছু জানা-অজানা তথ্য।
শৈশব
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর জন্ম ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে। ৪৭তম জন্মদিনের ১০ দিন পর তিনি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন।
শিক্ষা
প্রিয়াঙ্কা দিল্লির বিখ্যাত স্কুল মর্ডান স্কুলে পড়ালেখা করেছেন। এরপর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত জিএসএস অ্যান্ড মেরি কলেজ থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
বাসায় পড়ালেখা
ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যার পর বেশ কিছুদিন প্রিয়াঙ্কা স্কুলে যাননি। তখন বাসায় থেকেই পড়ালেখা করেছেন। বড় ভাই রাহুলের চেয়ে দুই বছরের ছোট প্রিয়াঙ্কা।
বৌদ্ধ ধর্ম
খুব কম মানুষই জানেন যে, প্রিয়াঙ্কা বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষায় মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেছেন। ২০১০ সালে তিনি এই ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট।
বিয়ে
১৯৯৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রিয়াঙ্কা তার ছোটবেলার বন্ধু রবার্ট ভদ্রকে বিয়ে করেন। রবার্ট দিল্লির সুপরিচিত ব্যবসায়ী। তবে গত বেশ কয়েক বছর ধরে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে।
সন্তান
প্রিয়াঙ্কা-রবার্ট দম্পতির দুই সন্তান। ছেলে রোহান আর মেয়ে মিরায়া। সন্তানদের কাছে মা প্রিয়াঙ্কা ভীষণ কড়া শিক্ষকের মতো।
দাদির ছায়া
কেবল সাধারণ মানুষ নয়, প্রিয়াঙ্কা নিজেও মনে করেন, তিনি দেখতে ইন্দিরা গান্ধীর মতো। দাদির মতোই ছোট চুল, খাঁড়া নাক। তার কাছে দাদির কিছু শাড়িও রয়েছে।
প্রথম ভাষণ
প্রিয়াঙ্কাকে মাইক হাতে খুব কমই দেখা গেছে। তিনি স্বল্পভাষী, কিন্তু যখন কথা বলেন, তখন তা সাধারণ মানুষের হৃদয় স্পর্শ করে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি প্রথম রাজনৈতিক বক্তব্য দেন।
নির্বাচনি প্রচারণা
আমেথি আর রায়বারেলিতে নির্বাচনি প্রচারের সময় প্রিয়াঙ্কা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। শোনা যায়, ভাই রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
শখ
প্রিয়াঙ্কা বই পড়তে, রান্না করতে এবং ছবি তুলতে ভালোবাসেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, তার শুদ্ধ হিন্দি উচ্চারণের পেছনে অমিতাভ বচ্চনের মা তেজী বচ্চনের কৃতিত্ব অনেক।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.