মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব
মিয়ানমারের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচারের সূত্র ধরে আবার ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে- মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের বরাতে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদের কড়া প্রতিবাদ জানাতেই তাকে তলব করা হয়েছে।
মঙ্গলবার উ লুইন ও’কে তলব করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া) দেলোয়ার হোসেন। বিকাল ৫টার দিকে রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসেন। দেলোয়ার হোসেন মঙ্গলবার রাতে যুগান্তরের কাছে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলবের কথা নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, ২৪ জানুয়ারি মিয়ানমারের বেশকিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ৪১ নম্বর পিলারের কাছে মংডু পুলিশ পোস্ট এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকরা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ওই সন্ত্রাসী হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলে খবরে জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এসব খবরের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এ ধরনের কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে কোনোভাবেই জড়িত নয়। এ বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করতেই তলব করা হয়েছে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে।
যদিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসার পর সাংবাদিকরা মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইনের কাছে জানতে চাইলে তিনি তলব করার বিষয়টি এড়িয়ে যান। রাষ্ট্রদূত বলেন, দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করতেই তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসেছেন।
আরাকান আর্মি ও আরসা নিয়ে বাংলাদেশকে জড়িয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের মুখপাত্রের দেয়া বিবৃতির কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। মিয়ানমারকে ৮ জানুয়ারি কূটনৈতিক চ্যানেলে এই প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়।
মিয়ানমার সরকারকে দেয়া প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশে আরাকান আর্মি ও আরসার কোনো ঘাঁটি নেই।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের মুখপাত্র আরাকান আর্মি ও আরসা নিয়ে বাংলাদেশকে জড়িয়ে গণমাধ্যমে যে বিবৃতি দিয়েছে, তা বাংলাদেশের নজরে এসেছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের মুখপাত্রের ওই বিবৃতি মিথ্যা ও মনগড়া।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ৪ নভেম্বর মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ৪১ রাউন্ড গুলি ছুড়লে দেশটির রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে ৭ নভেম্বর দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়।
বিজিপি কেন এমন ঘটনা ঘটাল, তার ব্যাখ্যা চেয়ে রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে কূটনৈতিক চিঠি দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরও আগে মিয়ানমার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (এমআইএমইউ) নামে দেশটির সরকারি একটি ওয়েবসাইটে মানচিত্রে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনকে মিয়ানমারের মধ্যে চিহ্নিত করার ঘটনায় ৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সূত্র- যুগান্তর
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.