ধানের র্শীষে ভোট দেওয়ায় ধর্ষিত নারীর দ্বায়িত্ব নিলেন এমপি, সাধারণের উপর নির্যাতনে শঙ্কিত বিএনপি

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধানের র্শীষে ভোট দেওয়ায় গণধর্ষণের শিকার সেই নারীর যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয়, পরিবারের পুনর্বাসন ও সকল আইনী সহায়তার দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ (সদর সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।শুক্রবার বিকেলে তার পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেই নারীর সাথে দেখা করে এই ঘোষণা দেন। এ সময় সাংসদদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন জানান, এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর পক্ষ থেকে এ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন। এটা দলের কোন বিষয় নয়, অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এ বিষয়ে কোন ছাড় দেওয়া হবেনা।

সাংগঠনিক প্রদক্ষেপ হিসেবে, গণধর্ষণের ঘটরার "নির্দেশদাতা" গ্রেফতার হওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ইউপি সদস্য রুহুল আমিনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। শুক্রবার রাতে এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্র- বাংলাদেশ প্রতিদিন

এদিকেনোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৩০ ডিসেম্বর ঘরে ঢুকে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে তিনি ‘মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত লোমহর্ষক’ বলে মন্তব্য করেন। এদিকে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে দেখতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা আজ নোয়াখালী যাচ্ছেন।

বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, এই ঘটনা জাতি হিসেবে আমাদের অত্যন্ত হেয়প্রতিপন্ন করেছে। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এমন ঘটনা কল্পনাও করা কঠিন। এতে আমরা ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ, উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত।

হুকুমের আসামিসহ কয়েকজনের নাম এজাহার থেকে বাদ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দোষীদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। এ ঘটনা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, মৌলিক মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হুমকির সম্মুখীন করেছে।

তিনি বলেন, এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য দেশের জনগণকেই উদ্যোগী হতে হবে। তিনি বলেন, এ লজ্জা ওই গৃহবধূর নয় বরং এ লজ্জা সমগ্র জাতির। এ নির্যাতন আমাদের গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকারের ওপর।

সুবর্ণচরে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে দেখতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। আজ সকাল ৭টায় গুলশান থেকে বিএনপি নেতারা সুবর্ণচরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।

এদিকে এ ঘটনা তদন্তে নোয়াখালীতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের দুটি তদন্ত দল বুধবার তদন্ত শুরু করেছে।

সূত্র- যুগান্তর

যেকোন রাজনৈতিক দলকে ভোট দেওয়া প্রতিটি বাংলাদেশের নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। এটা জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা। কোন দলকে ভোট দেওয়া অপরাধ নয়, অপরাধ তখন হয় যখন কেউ কোন দলের নির্দেশে জ্বালাও-পোড়াও, বোমাবাজি, হত্যা, ধর্ষন, অপহরণ এর মত ফৌসদারী অপরাধ করে থাকে। তাই সাধারণ জনগণের অাশা, যেহেতু অাওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ মহল বা কোন নেত্রীস্থানীয় কোন ব্যাক্তি এ নির্দেশ প্রদান করেন নি। তাই ঘটনাটি কেবল অপরাধীদ ব্যাক্তিদের নিজস্ব সিদ্ধান্তে সংগঠিত হয়েছে। তাই সকল রাজনীতিক দল, সরকার, অাইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বিচার বিভাগ এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ থেকে অপরাধীদের বাংলাদেশের অাইন অনুসারে যথাযোগ্য শাস্তির প্রদান করবে।