গাড়িতে তুলে গণধর্ষণ, আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গণধর্ষণ মামলার আসামি শাহাবুদ্দিন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হন পুলিশের তিন সদস্য।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর ফিশারিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে শ্যামল দে নামের আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসিন জানান, নিহত শাহাবুদ্দিন ও আহত শ্যামল দে দুজনেই পেশায় গাড়িচালক। গত ২৭ জানুয়ারি তারা এক মাদ্রাসাছাত্রীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করে। ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে পরদিন আবার তাদের কথামতো জায়গায় থাকতে বলে। এরপর ছাত্রীকে ছেড়ে দেয়। ওই ছাত্রী বাসায় এসে ঘটনাটি তার ভাইকে জানায়। ভাই বিষয়টি পুলিশকে জানান।
এরপর পুলিশের আশ্বাসে ওই ছাত্রী ধর্ষকদের কথামতো গতকাল সোমবার নির্দিষ্ট স্থানে থাকে। ওই ছাত্রীকে গাড়িতে তোলার সময় পুলিশ সদস্যরা সেখানে হানা দেন। ধর্ষকরা গাড়ি রেখে পালিয়ে যায়।
ওসি মহসিন জানান, রাতে চকবাজারের ডিসি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে শ্যামলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৩টার দিকে শাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তারের জন্য ফিশারিঘাট এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় শাহাবুদ্দিন। পুলিশও পাল্টা গুলি করলে শাহাবুদ্দিন নিহত হয়।
ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি মহসিন জানান, নিহত শাহাবুদ্দিনের চক্রটি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের টার্গেট করে কৌশলে অপহরণের পর গাড়িতে তুলে গণধর্ষণ করত। সোমবার এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণকারীদের হাত থেকে উদ্ধারের পর পুলিশের অভিযানে বের হয়ে আসে চক্রটির অপরাধ কার্যক্রম।
অভিযানে অংশ নেওয়া কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান জানান, চক্রটি প্রাইভেটকার নিয়ে অপরাধ করত। প্রথমে নির্জন স্থান দিয়ে যাওয়ার সময় কোনো মেয়েকে টার্গেট করত। কোনো একটি জায়গা চিনে কি না বা কোন পথে যাওয়া যায়, আলাপ জমিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়। পরে গাড়িতে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে সড়কে গণধর্ষণ করত।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.