রাখাইনে বাড়ি বাড়ি তল্লাশির অনুমতি
রাখাইন রাজ্য সরকার পুলিশ ও দেশটির সেনাবাহিনীকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়েছে। রাখাইনের উত্তরাঞ্চলের সাতটি টাউনশিপে এই অভিযান চালানো হবে।
মিয়ানমার সরকার বলছে, আরাকান আর্মি (এএ)-র সদস্যদের খুঁজে বের করতে এ অভিযান পরিচালনার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
গত ২৫ জানুয়ারি রাখাইন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে রাজ্যের অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী ইউ কিয়াও আয়ে থেইন ওই নির্দেশনা সম্বলিত চিঠি সই করেছেন। মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাবতী বলছে, ওই চিঠিটি রাখাইন রাজ্য পুলিশ, জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জিএডি), জনসংখ্যা ও অভিবাসী বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, রাখাইন সরকার জানতে পেরেছে রাজ্যের তালিকাভুক্ত সাতটি টাউনশিপে গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিশে গেছে আরাকান আর্মির সদস্যরা। গত ৪ জানুয়ারি চারটি সীমান্ত চৌকিতে হামলা চালিয়ে ১৩ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করে আরাকান আর্মির সদস্যরা। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেছে।
ওই ঘটনার পর অস্থিতিশীল ওই রাজ্যটিতে পুনরায় অস্থিরতা ও সহিংসতার দেখা দিয়েছে। নতুন করে আরও সাত হাজার মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এরপর বিভিন্ন বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানোর অনুমতি চায় রাজ্য সরকারের কাছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য মন্ত্রিসভা গত ২৩ জানুয়ারি বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)-র মনোনীত মন্ত্রীরা ‘আইন মেনে’ ওই সাত টাউনশিপে তল্লাশি অভিযান চালানোর ব্যাপারে অনুমতি দেয়।
এখন দেখার বিষয় মিয়ানমারের গণহত্যার নেতৃত্বদানকারী অবৈধ সরকার ও তার দোষর সামরিক বাহিনী কি সন্ত্রাস দমন করে না সন্ত্রাস দমনের নামে নিরীহ রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালায়।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.