ভবিষ্যৎ আফগান প্রশাসনে রুপরেখা দিল তালেবান
ভবিষ্যৎ আফগান প্রশাসনে ক্ষমতায় একাধিপত্য চাচ্ছে না তালেবান। বরং দেশটির বর্তমান প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একটা সহাবস্থান চাচ্ছেন তারা। বুধবার এ যাবতকালের সবচেয়ে আপসমূলক বিবৃতিটি দিয়েছে তালেবান। সেখান থেকে এ রূপরেখা জানা গেছে।
বক্তব্যটি এমন একসময় এসেছে, যখন ১৭ বছরের আফগান যুদ্ধের অবসানে তালেবানের সঙ্গে মার্কিন আলোচনা তুঙ্গে।
মার্কিন বিশেষ দূত জালমি খলিলজাদ চলতি সপ্তাহে বলেছেন, তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা একটি কাঠামোয় রূপ দিতে তাদের মধ্যে নীতিগত মতৈক্য হয়েছে।
আফগানিস্তানের অর্ধেকটা এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। এ ছাড়া আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারি কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে প্রতিনিয়ত তারা হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তালেবানের কাতারভিত্তিক রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন বলেন, যখন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়া হবে, তখন সাধারণ আফগানদের সঙ্গে মিলেমিশেই তারা দেশে অবস্থান করবেন।
তিনি বলেন, তারা পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল ও ভ্রাতৃত্ববোধ নিয়ে বসবাস করবেন।
‘দখলদারিত্বের অবসানের পর আফগানদের উচিত হবে অতীতকে ভুলে যাওয়া, পরস্পরের প্রতি সহনশীল হওয়া এবং একটি ভ্রাতৃত্ববোধের জীবনযাপন করা।’
সুহাইল শাহিন বলেন, আমরা এমন একটি আফগান সমাজ চাই, যেখানে সবাইকে নিয়ে বসবাস করা যাবে। যাতে প্রতিটি আফগান নাগরিক নিজেকে সেই সমাজের অংশ হিসেবে দেখতে পাবেন।
তবে আফগানিস্তানের পুলিশ ও স্থানীয় পুলিশে সংস্কার আনা হবে বলে জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র। দেশটির স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ব্যাপক দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্থানীয় লোকজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে তালেবানের আরেক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
গত সপ্তাহে দুপক্ষের মধ্যে ছয় দিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। জালমি খলিলজাদ বলেন, এখনও অনেক কিছু করতে হবে। কিন্তু বিদ্রোহীদের সঙ্গে একটি চুক্তি পৌঁছাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
এদিকে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলেছেন, কাবুল সরকারের অবগতি ও অংশগ্রহণের বাইরে কোনো চুক্তি হবে না।
১১ সেপ্টেম্বরের হামলার প্রেক্ষাপটে ২০০১ সালের নভেম্বরে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায় মার্কিন সেনাবাহিনী।
তারা আল-কায়েদা ও তাদের নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেয়া তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করে। ১৯৯৬ সাল থেকে তালেবান দেশটি শাসন করছিল। দেশে কট্টর শরিয়া আইন প্রয়োগ করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা ছিল।
সূত্র- ডন
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.