ইজতেমায় তাবলীগ জামায়াতকে প্রশাসনের ১০ শর্ত
.
এবারের বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে তাবলীগ জামায়াতের মুরব্বিদের ১০টি শর্ত বেঁধে দিয়েছে প্রশাসন। এবারই প্রথম দুই গ্রুপের চারদিনের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে, তাই প্রথম গ্রুপকে আখেরি মোনাজাতের ৬ ঘন্টার মধ্যে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে মোতায়েন থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ১০ হাজার সদস্য।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। চারদিনের ইজতেমা বাস্তবায়নের জন্য বিবদমান দুই গ্রুপকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে ১০ শর্ত।১৫ ফেব্রুয়ারি কাকরাইল মসজিদের খতিব মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা শুরু করে ১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার আখেরি মোনাজাত করে ইজতেমা মাঠ ত্যাগ করবেন। পরে দিল্লী মারকাযের মুরব্বি মাওয়ালানা সা'দ অনুসারীরা ১৭ ফেব্রুয়ারি ফজরের নামাজের পর ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করে দুই দিনের ইজতেমা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এছাড়াও মাঠ ছাড়ার সময় প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেয়াসহ, মাঠের যাবতীয় সরঞ্জামাদির দায়িত্ব প্রশাসনের হাতেই থাকছে।
আয়োজক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুল হান্নান বলেন, ‘শনিবারে ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে যেকোন একসময় দোয়া হবে। আরেকটি দোয়া যারা করবেন তারাও, আমরা যেমন করে চলে গেছি, তারাও যেন চলে যায়।জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘মধ্যবর্তী সময়ে যেন দু’পক্ষের মধ্যে ব্যবস্থাপনার সংকট তৈরি না হয়, এর জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি আছে।অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের ইজতেমাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের পক্ষে থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। প্রায় ৫০০ সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি মাঠের চারপাশে থাকছে ১৭ টি ওয়াচ টাওয়ার।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ১২৩টি ট্রেনে বিশেষ ব্যবস্থা করেছি। বিআরটিসির জন্য ৪০০ বাসের ব্যবস্থা করেছি। সিসি ক্যামেরা ৫০ এর জায়গায় ৩০০ করা হয়েছে। আশা করা যায়, সব রকমের সমস্যা আমরা মোকাবেলা করতে পারবো।’ আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.