শীতে দুর্ভোগে ২০০ জন মিয়ানমার ফিরেছে ৮ পরিবার
বান্দরবানের রুমা সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেয়া দু’শতাধিক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের লোকজন শীতে কষ্ট পাচ্ছে।রোববার সন্ধ্যায় মিয়ানমারে ফিরে গেছে আশ্রয় নেয়া ৮টি পরিবার। অন্যরা রুমা বউ প্রাংসা ইউনিয়নের চাইক্ষ্যাং পাড়া সীমান্তের ৭২ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় অবস্থান করছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার জহিরুল হক জানান, আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের সঙ্গে বিজিবির টহল দলের কথা হয়েছে।সংঘাতময় এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হলে তারা কয়েক দিনের মধ্যে মিয়ানমার ফিরে যাবে। ইতিমধ্যে ৮টি পরিবার মিয়ানমারে ফিরে গেছে।পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং রোববার আইনশৃঙ্খলা সভায় বলেন, কোনো বিদেশি নাগরিককে অবৈধভাবে পার্বত্যাঞ্চলে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। ভিনদেশী নাগরিকদের পার্বত্যাঞ্চল থেকে সরাতে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, মিয়ানমারের চীনরাজ্যে বিবিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ আরাকান আর্মি (এএ) সদস্যদের সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীসহ সরকারি বাহিনীগুলোর মধ্যে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে সংঘর্ষ চলছে।বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীগুলো হেলিকপ্টার থেকে বোমা বর্ষণ এবং ভারী অস্ত্র দিয়ে গোলাগুলির কারণে আতঙ্কিত হয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইন, খুমি এবং খেয় সম্প্রদায়ের দু’শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসে।
রুমা উপজেলার প্রাংসা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জিরামং বলেন, পালিয়ে আসা মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে রাখাইন সম্প্রদায়ের সংখ্যাই বেশি। রাখাইন ২৩ পরিবারে ৩৩ জন পুরুষ, নারী ৩৫ জন এবং শিশু ২৩ জন। খুমি ৯ পরিবার পুরুষ ৯ জন, মহিলা ১০ জন ও শিশু ১৬ জন। খেয় সম্প্রদায়ের ৬ পরিবারের রয়েছে ৮ জন পুরুষ, ৬ জন মহিলা ও ২০ জন শিশু। এছাড়া শূনরেখা থেকে দূরে আরও কিছু নাগরিক রয়েছে। আশ্রয় নেয়া লোকজন শীতে খুব কষ্ট পাচ্ছে তাঁবুতে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.