অবৈধ দখলের হাত থেকে নদী বাঁচানো যাচ্ছে না কেন?
বাংলাদেশে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নদ-নদী দখলের অভিযোগ থাকলে তাকে সব ধরনের নির্বাচনে অযোগ্য করার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।একই সাথে এমন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কোনো ব্যাংক থেকে ঋণ না দেয়ার ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
একটি রিট মামলায় হাইকোর্ট ঢাকার উত্তরে তুরাগ নদকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষণার পাশাপাশি রায়ে এসব নির্দেশনা দিয়েছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাদেশে অবৈধ দখলদাররা প্রভাবশালী এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ক্ষমতা সীমিত।দূষণ এবং অবৈধ দখলের হাত থেকে নদ-নদী, খাল-বিল বা জলাশয় রক্ষায় বিভিন্ন সময় নানান পদক্ষেপের কথা এসেছে। কিন্তু বাস্তবায়ন কতটা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
এবার আদালত সারাদেশে অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করে তা জনসমক্ষে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে।দেশের সব নদ-নদী, খাল-বিল এবং জলাশয়ের ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরির নির্দেশও এসেছে।নদী নিয়ে রিট মামলার পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলছিলেন, অবৈধ দখলদারদের নির্বাচন করার এবং ব্যাংকের ঋণ পাওয়ার অযোগ্য ঘোষণার বিষয়কে তারা মাইলফলক হিসেবে দেখছেন।তবে তিনি বলেছেন, "নদী রক্ষা কমিশনের ব্যাপারে ২০১৩ সালে যে আইন করা হয়েছে, তাতে কমিশনের হাতে তেমন কোনো ক্ষমতা দেয়া হয়নি। কমিশন শুধু সুপারিশ করা ছাড়া কিছু বাস্তবায়ন করতে পারে না।"এখন আদালত তুরাগ নদকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণার পাশাপাশি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে নদ-নদী, খাল-বিল এবং জলাশয়ের আইনগত অভিভাবক হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেজন্য আইন সংশোধনের কথাও বলা হয়েছে।
ব্রম্মপুত্র নদের এই জায়গাটা হেঁটেই পাড়ি দেয়া যায়। সর্বোচ্চ গভীর যে অংশটি সেখানেও পানি হাঁটুর ওপরে নয়
এই কমিশনের চেয়ারম্যান ড: মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলছিলেন, অবৈধ দখলমুক্ত করার ব্যাপারে তারা সাধারণত সুপারিশ করেন থাকেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, সারাদেশে তালিকা তৈরির কাজ তারা করছেন। তাতে তারা দেখছেন, অবৈধ দখলদাররা প্রভাবশালী।
সারাদেশে নদী দখলের কি চিত্র পেয়েছে কমিশন?
ড: হাওলাদার জানিয়েছেন, তারা ৫৮টি জেলায় নদী দখলের চিত্র দেখেছেন।প্রভাবশালীরাই নদী দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা, এমনকি শিল্প কারখানা তৈরি করেছে, এমন চিত্র তারা বেশি পেয়েছেন।ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতেই একেবারে নদীর ভিতরের জায়গা দখল করে ডক ইয়ার্ড করা হয়েছে। এরকম ৩৩টি ডক ইয়ার্ড চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি বলছেন, দেশের অনেক নদী এভাবেই প্রভাবশালীরা দখলে রেখেছে।পরিবেশ এবং নদী নিয়ে আন্দোলনকারী সংগঠন বাপার আবু নাসের বলছিলেন, সারাদেশে বহুবার নদ নদীর অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে, কিন্তু সেভাবে কোন লাভ হয়নি।"এতদিন ধরে অবৈধ দখলদার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে। আবার তারা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এটা উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা হয়েছে।"
মি: নাসের মনে করছেন, অবৈধ দখলদারদের তালিকা করে তাদের নির্বাচন করার এবং ঋণ পাওয়ার অযোগ্য করার ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব। এটা আংশিক বাস্তবায়ন হলেও সেটা কার্যকর বিষয় হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।আদালত নদী রক্ষা কমিশনকে নদ-নদী, খাল-বিল এবং জলাশয়ের আইনগত অভিভাবক ঘোষণা করে আইন সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে।এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আদালতের রায় পর্যালোচনা করে আইন কঠোর করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
সারাদেশে নদী দখলের কি চিত্র পেয়েছে কমিশন?
ড: হাওলাদার জানিয়েছেন, তারা ৫৮টি জেলায় নদী দখলের চিত্র দেখেছেন।প্রভাবশালীরাই নদী দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা, এমনকি শিল্প কারখানা তৈরি করেছে, এমন চিত্র তারা বেশি পেয়েছেন।ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতেই একেবারে নদীর ভিতরের জায়গা দখল করে ডক ইয়ার্ড করা হয়েছে। এরকম ৩৩টি ডক ইয়ার্ড চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি বলছেন, দেশের অনেক নদী এভাবেই প্রভাবশালীরা দখলে রেখেছে।পরিবেশ এবং নদী নিয়ে আন্দোলনকারী সংগঠন বাপার আবু নাসের বলছিলেন, সারাদেশে বহুবার নদ নদীর অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে, কিন্তু সেভাবে কোন লাভ হয়নি।"এতদিন ধরে অবৈধ দখলদার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে। আবার তারা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এটা উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা হয়েছে।"
মি: নাসের মনে করছেন, অবৈধ দখলদারদের তালিকা করে তাদের নির্বাচন করার এবং ঋণ পাওয়ার অযোগ্য করার ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব। এটা আংশিক বাস্তবায়ন হলেও সেটা কার্যকর বিষয় হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।আদালত নদী রক্ষা কমিশনকে নদ-নদী, খাল-বিল এবং জলাশয়ের আইনগত অভিভাবক ঘোষণা করে আইন সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে।এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আদালতের রায় পর্যালোচনা করে আইন কঠোর করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
সূত্র- বিবিসি
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.