সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    মালিতে বন্দুকধারীদের হামলায় ১৩৪ জন নিহত!

    মালিতে বন্দুকধারীদের হামলায় ১৩৪ জন নিহত

    পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ১৩৪ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার স্থানীয় সময় ভোরে দেশটির মধ্যাঞ্চলের ওগোসাগু গ্রামে মুসলিম ধর্মাবলম্বী ফুলানি সম্প্রদায়ের ওপর এ হামলা চালানো হয়।
    ঘটনার নিকটবর্তী শহর বানকাসের মেয়র মুলাই গুইন্দো জানিয়েছেন, ডনজো শিকারিদের ঐতিহ্যগত পোশাক পরা সশস্ত্র ব্যক্তিরা হামলা চালিয়েছে। তারা গ্রামের চারদিক ঘেরাও করে হামলা শুরু করে। এরপর সশস্ত্র ব্যক্তিরা নিকটবর্তী আরেক গ্রাম ওয়েলিংগারাতে হামলা চালায়।
    নির্মম এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস। বিবৃতিতে তিনি দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবার এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসির।
    বানকাসের মেয়র টেলিফোনে জানান, গ্রামপুলিশ এ পর্যন্ত ১৩৪টি মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছেন। নিহতদের মধ্যে গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধা রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানিয়েছেন, হামলাকারীরা গুলি ও জবাই করে গ্রামবাসীদের হত্যা করে। তারা অনেক কুঁড়েঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।
    দরিদ্র ফুলানি সম্প্রদায়ের মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে পশুপালন। এ সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ মানুষই রাখাল। তাদের সঙ্গে মালির ডনজো শিকারিদের বিবাদ অনেক পুরনো। উভয়পক্ষের মধ্যে জমি ও পানির দখল নিয়ে বিরোধ চলছে।
    তবে শনিবার গ্রামে হামলাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে দুষছে ফুলানি সম্প্রদায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওগোসাগুর নামে এক বাসিন্দা জানান, গত সপ্তাহে চালানো এক হামলায় ২৩ সৈন্য নিহতের দায় শুক্রবার স্বীকার করেছে আল কায়েদার অনুগত একটি গোষ্ঠী। তার জেরেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সেনা হত্যার দায় স্বীকার করে ওই গোষ্ঠীটি বলেছিল- ফুলানি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মালির সেনাবাহিনী ও মিলিশিয়াদের সহিংসতার জবাব দিয়েছে তারা।
    স্থানীয় বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর সহিংসতায় মালির কেন্দ্রীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠছে। এ সহিংসতা পশ্চিম আফ্রিকার পুরো সাহেল অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। এসব সহিংসতায় গত বছর ৫০০ লোক নিহত হয়।
    হানাহানির সমাধান খুঁজতে সম্প্রতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি মিশন মালি পরিদর্শন করেছে। তার মধ্যেই সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এ হামলার ঘটনাটি ঘটল।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !