বাসা পরিষ্কারের সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন
বাসায় বাচ্চা থাকলে এমনিতেই বিভিন্ন সতর্কতা মেনে চলতে হয়। তাদের শরীর-স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতেই বেশ কিছু নিয়ম-কানুনও মেনে চলতে হয় অভিভাবকদের। এর মধ্যে ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখার অভ্যাস অন্যতম।বাসার ভেতর বা চারপাশে নোংরা-আবর্জনা জমলে সেখান থেকে রোগ-জীবাণু ছড়ায়। এজন্য শিশুদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখার দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু বাসা পরিষ্কার করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই আমরা ভুল করি যা শিশুদের ক্ষতিগ্রস্ত করে।
শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক কম হওয়ায় সামান্য অপরিচ্ছন্নতা থেকেই খুব তাড়াতাড়ি অসুখে পড়ে তারা। এজন্য বাসা পরিষ্কারের সময় খুঁটিনাটি সব বিষয়েই দৃষ্টি দিতে হবে।
- সিস্থেটিক ফাইবারের ঝাড়ু বা ডাস্টার দিয়ে বাসা পরিষ্কার করেন? এগুলো দেখতে সুন্দর হলেও ঘরের ধুলাবালি খুব একটা পরিষ্কার হয় না। এজন্য সুতি কাপড়ের বা মাইক্রোফাইবারের ঝাড়ু ব্যবহার করুন
- রান্নাঘরের সব কোণা পরিষ্কার রাখলেও কাটাকুটি করার জন্য চপিং বোর্ডটা প্রতি দিন পরিষ্কার করেন কি? এই ভুল আমরা অনেকে করি। চপিং বোর্ড ভাল করে না ধুলে সেখান থেকেই রোগ-জীবাণু ছড়াতে পারে। আর দিনের পর দিন চপিং বোর্ড শুধুমাত্র ঝেড়ে নিয়েই কাজ চালিয়ে যান অনেকে। এই অভ্যাস বদলাতে চেষ্টা করুন।
- শুধু বেসিন বা সিঙ্ক পরিষ্কার করলেই ঘরকে জীবাণুমুক্ত রাখা যায় না। কলের মাথা, দরজা-জানালার হাতলও নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
- বাসায় থাকা ময়লার ঝুড়ির মুখ অবশ্যই ঢেকে রাখবেন। শুধু তাই নয়, ব্যবহৃত ময়লার ঝুড়ি কয়েকদিন পর পর পরিষ্কার করুন।
- অনেকে রান্না শেষ হওয়ার পরও অনেকক্ষণ তরকারির খোসা ছড়িয়ে রাখেন। এতে মাছির উপদ্রব বাড়ে এবং এর মাধ্যমে রোগ ছড়ায়।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.