কানে পিঁপড়া ঢুকলে কী করবেন?
অজান্তেই অনেক সময় আপনার কানে পিঁপড়া,অন্যকোনো পোকা বা যে কোনো বস্তুর টুকরো ঢুকে যেতে পারে।তবে রাতের বেলায় ঘুমাতে গেলে পিঁপড়া কানে ঢুকে যেতে পারে।এই সমস্যা অনেকের হয়ে থাকে।অসাবধানতাবশত কানে পোকা-মাকড় ঢুকে পড়া কষ্টের ও ভীতিকর। অনেকের ধারণা দুই-তিন বছরের শিশুরা সাধারণত খেলাচ্ছলে ছোট ছোট কোনো জিনিসপত্র নাক, কান বা মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়।
বড়দেরও একটা অভ্যাস আছে কোনো কিছু দিয়ে (যেমন- কটন বাড, মুরগির পালক, ম্যাচের কাঠি দিয়ে) কান খোঁচানো, চুলকানো। এতে করে খোঁচানোর সময় কাঠি ভেঙে বা কটন বাডের কটন কানে থেকে যেতে পারে।
কি কি বস্তু কানে ঢুকতে পারে?
১. কটন বাড বা তুলার অংশ
২. ম্যাচের কাঠি, পুঁতির দানা, বল বিয়ারিং
৩. পেনসিলের সীস
৪. পাখির/মুরগির পালক
৫. শস্যদানা-চাল, ডাল, ধান, ফলের বীজ, মুড়ি, চিঁড়া
৬. রাবার, কাগজ, ফোম, ছোট ছোট খেলনার অংশ, আরও কত কী?
৭. অনেক সময় জীবন্ত পোকামাকড় যেমন- মশা, মাছি, আস্ত তেলাপোকা, পিঁপড়া ইত্যাদি কানের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।
উপসর্গগুলোঃ
১. কানের প্রচণ্ড অস্বস্তি হওয়া
২. কানে ব্যথা
৩. কানে কম শুনতে পাওয়া
৪. জীবন্ত পোকামাকড় কানে ঢুকে গেলে ভীষণ বিরক্তি, এমনকি ভয়েরও উদ্রেক হতে পারে।
কানে কোনো বস্তু ঢুকলে কী করবেন?
মনে রাখবেন পোকা বা পিঁপড়া দ্রুত বের না করলে তা মাথা বা মস্তিষ্কে ঢুকে যেতে পারে। কানে যে কোনো কিছু ঢুকে গেলে উপযুক্ত চিকিৎসা হল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা বের করে ফেলা। এ জন্য রোগীকে নাক, কান, গলা। অর্থাৎ ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।কানে জীবন্ত পোকা ঢুকে গেলে আগে অলিভ অয়েল দিতে হবে, যাতে করে এটি মারা যায়, তারপর বের করতে হবে। বাসায় অনভিজ্ঞ হাতে অযথা খোঁচাখুঁচি করবেন না। শিশুরা ভয়ে কান্না বা নড়াচড়া করলে এবং অসহযোগিতা দেখালে জোরপূর্বক তা বের করার চেষ্টা করবেন না বরং হাসপাতালে সম্পূর্ণ অজ্ঞান করে বের করাই হবে উত্তম কাজ।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.