ক্রাইস্টচার্চে হামলা: তোপের মুখে ফেসবুক

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় শহীদ হয়েছে ৫০ জন। হামলার ঘটনা ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার হওয়ার পর থেকে ফেসবুকের ওপর বৈশ্বিক চাপ বাড়ছে।ফেসবুকের ওপর অভিযোগ উঠেছে যে, ফেসবুক কীভাবে আপত্তিকর সহিংস কন্টেন্ট তাদের প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে ও ইতোমধ্যে ফেসবুকের লাইভস্ট্রিম বন্ধের দাবি উঠছে। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ হামলার ঘটনা শুধু ফেসবুক দুনিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে না। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা গুগলের ইউটিউব, টুইটারেও ছড়িয়ে পড়েছে লাখ লাখ কপি।
এখন এসব ভিডিও, ছবি ও কমেন্ট মুছে ফেলতে ও সরিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে ফেসবুক। তবে এই হামলায় ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের জন্য বেছে নেওয়ায় এ প্ল্যাটফর্ম নিয়ে বেশি আলোচনা উঠে এসেছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য সরকার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলেকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ছড়ানো রোধে বাড়তি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এসব মাধ্যমের ভারসাম্য রক্ষার নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তবে সবচেয়ে বেশি আপত্তি তুলেছে ভিডিও লাইভস্ট্রিমের বিষয়টি নিয়ে।জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রেও এসব কোম্পানির সমালোচনা হচ্ছে। সেখানকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এলিজাবেথ ওয়ারেন নির্বাচনে জিতলে ফেসবুক, গুগল ও আমাজনের মতো কোম্পানিগুলোকে ভেঙে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
এছাড়াও ফেডারেল সরকার ও বিরোধী লেবার পার্টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সন্ত্রাসী ভাবধারা ও কনটেন্ট ছড়ানো রোধে বাড়তি পদক্ষেপ দাবি করছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে তাদের প্ল্যাটফর্মে সন্ত্রাসী ভিডিও যেন ছড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, এসব ভিডিও একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তা ঠেকানো বড় কঠিন।তাই এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ ডেইলি এক্সপ্রেসকে বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধের দায়িত্ব রয়েছে। তারা ব্যবস্থা না নিলে তাদের আইনি প্রক্রিয়ায় শাস্তি হবে।
তবে সোশ্যাল মিডিয়া নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফেসবুক থেকে মুছে ফেলা হয়েছে একথা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি ফেসবুকের মুখপাত্র।ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দাবি, ২৪ ঘণ্টায় ১৫ লাখ ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অধিকাংশই আপলোড করার সময় বাধা দেয়া হলেও এর মধ্যেই তিন লাখ ভিডিও পোস্ট হয়ে গেছে।
Bangladeshi Taka Converter
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.