দখল ও দূষণের কবলে মগড়া নদী
অবৈধ দখলদার ও দূষণের কারণে নেত্রকোনার প্রমত্তা মগড়া নদী শুকিয়ে খালে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে বারবার আন্দোলন করে এলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি।পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, নেত্রকোনা সেচ বিভাগ কর্তৃক ৬ কিলোমিটার ছোট মগড়া খাল নামে প্রকল্প পাশ হওয়ায়, একই নামের কারণে অনুমোদন পায়নি নদী খনন প্রকল্প। তবে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
কালের আবর্তে শুকিয়ে নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে নেত্রকোনার প্রমত্তা মগড়া নদী। অবৈধ দখলদারদের দৌরাত্ম্যে ভরাট হয়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে নদীটি। সেইসাথে পৌরসভার বাড়িঘর ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সকল ময়লা আবর্জনা নদীতে ফেলায় নদী ভরাট হয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।পানি কমে যাওয়ায় এই নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহকারী ৪ শতাধিক জেলে এখন বেকার। এ অবস্থায় নদী দখল, দূষণমুক্ত ও খনন করতে নেত্রকোনাবাসীর ব্যানারে বিভিন্ন সংগঠন 'নদী বাঁচাও' আন্দোলন করলও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
স্থানীয়রা বলেন, '৪৫২টি জেলে পরিবার আজ পেশাহীন। কারণ তারা সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভরশীল ছিল এই নদীতে মাছ ধরার ওপর। খননের মাধ্যমে এই নদীকে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিলে কৃষকরা ফসলের জমির জন্যে পানি পাবে।' পানি উন্নয়ন বোর্ড পদক্ষেপ নিলেও নেত্রকোনা সেচ বিভাগ কর্তৃক ৬ কিলোমিটার ছোট মগড়া খাল নামে প্রকল্প পাশ হওয়ায়, একই নামের কারণে অনুমোদন পায়নি নদী খনন প্রকল্প বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান। তিনি বলেন, 'ছোট মগড়া খাল প্রকল্প পাশ হয়েছে। সে কারণে ২ নাম হওয়ায় মগড়া নদী খনন প্রকল্প থেকে বাদ যায়।' তবে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মঈনুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'এই মগড়া নদী নিয়ে আরেকটি প্রকল্প তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছি।' প্রায় ১শ ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ মগড়া নদী । পৌর শহরকে ঘিরে রেখেছ নদীটির ৬ কিলোমিটার অংশ।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.