সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    যে কারণে লাদেন পুত্রের নাগরিকত্ব বাতিল করল সৌদি আরব

    যে কারণে লাদেন পুত্রের নাগরিকত্ব বাতিল করল সৌদি আরব

    যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নিহত আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে সৌদি আরব। হামজাকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুরষ্কারের পরই এমন ঘোষণা দেয় সৌদি সরকার। শুক্রবার সৌদি আরবের সরকারি উম আল কারা পত্রিকা হামজাকে নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে।এছাড়া সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হামজার নাগরিকত্ব বাতিল নিয়ে বিবৃতি দেয়।এর আগে হামজা সম্পর্কে তথ্য দিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ১০ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
    আল-কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। পাকিস্তানে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা অভিযানে তিনি নিহত হন।এর আগে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লাদেন পুত্র হামজাকে নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে হামজা জঙ্গি দলটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে উঠেছেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।ওই বিবৃতিতে বলা হয়, লাদেন পুত্র হামজা পশ্চিমা দেশগুলোর রাজধানীতে হামলার ডাক দিয়ে অডিও এবং ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর ওপর তার বাবা হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।এতে আরও বলা হয়, বিদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদেরকেও হামজা হুমকি দিয়েছেন। এ ছাড়া সৌদি আদিবাসীদেরকে ইয়েমেনি আল কায়েদা শাখার সঙ্গে একজোট হয়ে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে লড়াই করার ডাক দিয়েছেন।তবে হামজার অবস্থান কেউ জানে না। সৌদি ছাড়া তার অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব আছে কিনা তাও পরিষ্কার নয়।
    যুক্তরাষ্ট্র ধারনা করছে, হামজা খুব সম্ভবত আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে আছেন। সেখান থেকে তিনি ইরানেও চলে যেতে পারেন। তবে তার অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারছেন না।এদিকে হামজা সম্পর্কে গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হয়। সাত বছর আগে পাকিস্তানের অ্যাবোটবাদে মার্কিন সামরিক অভিযানে ওসামা বিন লাদেন নিহত হন। তার জীবিত তিন স্ত্রীর মধ্যে খাইরিয়া সাবারের গর্ভে জন্ম নিয়েছেন হামজা বিন লাদেন।টুইন টাওয়ারে হামলায় অংশ নেয়া এক বিমান ছিনতাইকারী মোহাম্মদ আত্তার মেয়েকে বিয়ে করেছেন হামজা।২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রাণ হারায় দুই হাজার ৭৫৩ জন। শুধু প্রাণের হিসেবেই নয়, এই ঘটনায় পাল্টে যায় বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্র। ঘটনার পরপরই সন্দেহের তীর আল-কায়দার ওপর গিয়ে পড়ে।প্রাথমিকভাবে হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয় অস্বীকার করলেও ২০০৪ সালে হামলার দায় স্বীকার করেন আল-কায়দা প্রধান ওসামা।

    সূত্র- রয়টার্স

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !