সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    খাঁচার পাখি রপ্তানি, বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের এক অপার সম্ভাবনাময় খাত

    ছোট বেলা থেকে আমরা শিখেছি, বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।আর আমি বলি, "বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে,  খাঁচার পাখি তেমনি সুন্দর খাঁচা ভিতরে"। অনেকই জানে না যে, পাখিদের মূলত দু’ভাগে ভাগ করা যায়। একটি ওয়াইল্ড বার্ড (বন্য পাখি), অন্যটি কেসবার্ড (খাঁচার পাখি)। ওয়াইল্ড বার্ড বা বন্য পাখি পালন করা/ধরা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। অপরদিকে কেসবার্ড বা খাঁচার পাখি হচ্ছে খাঁচায় পালন করার জন্য। কেসবার্ড বা খাঁচার পাখি জন্ম জন্মান্তর থেকে তারা খাঁচায় বসবাস করছে।খাঁচার পাখি যেমন- বাজরিগার, লাভ বার্ড, ফিঞ্চ, ককাটেল, ম্যাকাউ, কাকাতুয়া প্রভৃতি খাঁচায় থাকতেই ভালবাসে। খাঁচাতেই এরা নিরাপদ ও  স্বাচ্ছন্দ্যে  বাস করে। কিন্তু ন্য পাখিকে যদি খাঁচায় বন্ধি করা হয় তাহলে পাখি খাঁচায় ছটফট করবে, আর তা আইনত অপরাধ। আমাদের দেশের অনেকের বদ্ধমূল ধারণা যে, খাঁচার পাখি কেসবার্ডগুলোকে ছেড়ে দেয়া যায়। আর ওই পাখিদের খাঁচায় বদ্ধ রাখা অন্যায়। আসলে তা ঠিক নয়। কারণ কেসবার্ডগুলোকে প্রকৃতিতে ছেড়ে দিলে অন্যান্য পাখি এদের মেরে ফেলবে। আর কেসবার্ড পালন করলে এতে আইনের কোন বাধা নেই।কারণ এদের অধিকাংশ বিদেশী এবং এদেরকে খাঁচায় পালনের জন্যই এদেশে অানা হয়। 

    3189873551_04bfdea50e

    এবার আসি মূল কথায়, বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক তরুণ-তরুণী সখ করে পাখি পালন করে। যা আ আমাদের নেশার সাথে সাথে সহ-পেশায় (Part time job) পরিণত হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা লেখা পাড়ার পাশাপাশি দেশী-বিদেশী পাখি পালন করে নিজেদের হাত খরচ ও অনেকে পড়ালেখার খরচ চালাচ্ছে। অাবার অনেক বেকার যুবক অাজ কবুতর, লাভ বার্ড, ককাটেল, টিয়া, কাকাতুয়া ইত্যাদি পাখি পুষে আবার স্বাবলম্বী হয়ে বেকারদের জন্য আদর্শে পরিণত হয়েছে। 

    দেশি- বিদেশী পাখি পালন করতে গিয়ে আমরা নানা সমস্যায় পড়ি, কিন্তু সকল সমস্যাকে জয় করে আমরা আজ স্বাবলম্বী হয়েছি। উন্মুক্ত করেছি বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের এক অপার সম্ভাবনাময় দ্বার। শুধু চাই একটু সরকারী বে-সরকারী সহযেগীতা। আমাদের ব্যাংক ঋণ, অনুদান কিংবা আর্থিক সহায়তার চেয়ে প্রয়োজন একটু পাখি বিক্রয় করার ব্যবস্থা করা এবং বিদেশে রপ্তানিতে সহায়তা করা। আমাদের পাখির প্রধান  বিক্রয় মাধ্যম হল দেশীয় সাপ্তহিক হাট, অন-লাইন মার্কেট প্লেস ও এলাকার সৌখিন পাখি পালনকারীরা। যার কারণে পাখির ন্যায্য মূল্য থেকেও আমারা অনেক ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছি। ১০,০০০ টাকার পাখি বিক্রয় করতে হচ্ছে মাত্র ৩০০০-৪০০০ টাকায়। যার কারণে অল্প পুঁজির খামারিরা আর্থিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। তাছাড়া এলাকার স্থায়ী পাখির দোকানগুলোতে গেলে নামমাত্র দামে তারা পাখি খামারিদের বা সৌখিন পাখি পালকদের কাছ থেকে পাখি কিনে থাকে। 

    তাই আমার যদি অতি সহজে বিদেশে পাখি রপ্তানি করতে পারতাম তবে গোপনে পাচার, ভ্যাট প্রদান না করা, কিংবা গোপনে পাখি পালনের প্রবণতা কম যেত। তাছাড়া সহজ রপ্তানি নীতি প্রণয়ন করলে দেশ অনেক বেশি বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করতে পারতো। 

    তাই, দেশনেত্রী, ২০ কোটি জনতার মাতা, দেশ দরদী, মানবতার দেবী, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালীর কন্যা, দেশ রত্ন প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার কাছে বিদেশী পাখি পালনকারীদের প্রতি সদয় হয়ে পাখি রপ্তানি সহজ করার জন্য যুগোপযুগী আইন প্রণয়ন করে, পাট শিল্পের মত পাখির পালন খাতকে বিপুল বৈদেশীর মূদ্রা অর্জনের নতুন দ্বার হিসেবে উন্মচিত করার আকুল আবেদন করছি। 


    ধান, চাল, চিনি প্রভৃতির সরবরাহ করার বস্তায় পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করায় যেমন মৃত প্রায় পাট শিল্পে আবার প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। তেমনি সহজ ও যুগোপযুগী পাখি পালন ও রপ্তানির আইন প্রনয়ন হলে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, বেকার যুবক-যুবতী তথা আবালবৃদ্ধবনিতা সবার জন্য নতুন এক কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাছাড়া চাকুরীর পাশাপশি সহ-পেশা বা Part time job হিসেবে, গৃহিনীরা বাড়ীর কাজের ফাঁকে দেশী বিদেশী পাখি পালন করে বাড়তি আয় করতে পারবে। যা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ও মাথা পিছু আয়কে বাড়াতে সাহায্য করবে।

    তাছাড়া যেহেতু গৃহপালিত পাখির মত সহজে ময়না, শালিক, টিয়া, কালিম, বাঁলিহাস ও ডাহুক পালন কারা যায়। ভাত শালিক, কালিম,বাঁলিহাস ও ডাহুক পোষ মানলে বা ছোট থেকে পালন করলে তা আর উড়ে পালায় না। গৃহপালিত হাঁস-মুরগীর মত বাড়িতেই খোলা পরিবেশে ময়না, শালিক, টিয়া, কালিম,  বাঁলিহাস ও ডাহুক পালন করা যায়। তাই প্রতিটি বাড়িতে বাংলাদেশ সরকার  ভাত শালিক, কালিম, বাঁলিহাস ও ডাহুক পালন করার সুযোগ দিলে এদের বংশও  বৃদ্ধি পাবে এবং সব জায়গায় সহজলভ্য হলে চোরা শিকারীদের দৌরাত্ব কম যেত এবং এই পাখি গুলির অস্তিত্ব বিলিন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেত। 

    লেখক- ইঞ্জিঃ মোঃ আল মেরাজ মোল্লা, Owner- Angry Bird

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !