নুসরাতের হত্যাকাণ্ড: রানা ও মামুন গ্রেফতার
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় রানা ও এমরান হোসেন মামুন দুজন গ্রেফতার করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা।শনিবার রাতে রাঙ্গামাটি থেকে রানা ও কুমিল্লার পদুয়ার বাজর এলাকা থেকে এমরান হোসেন মামুনকে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় পিবিআই।ফেনী পিবিআইয়ের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান জানান, মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার মামলার আসামি হিসেবে রানা ও এমরান হোসেন মামুন দুজনেই সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্র। রানা ও মামনু গ্রেফতার নিয়ে শনিবার পর্যন্ত নুসরাত হত্যাকাণ্ডে ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট মামলায় এজাহারের বাইরে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার রয়েছেন সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন। তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমেদ।গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী সহপাঠী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে, এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই ভবনের তিনতলায় যান। সেখানে মুখোশধারী বোরকা পরিহিত ৪-৫ জন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। তিনি অস্বীকৃতি জানালে গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
পাঁচ দিন পর ১০ এপ্রিল বুধবার রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি। পরদিন সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে বিকালে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.