আইসিএওরপ্রধান নির্বাচিত হলে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখবেন আমিরাতের আয়শা
জাতিসংঘের বিমান সংস্থার পরিচালনা পরিষদের প্রধান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাওয়া আরব আমিরাতের প্রথম নারী বিমানচালক আয়শা আল হামিলি বলেছেন, কাতারের সঙ্গে উপসাগরীয় দেশগুলোর আকাশপথের বিতর্ক নিরসনে সেতুবন্ধের ভূমিকা রাখতে পারবেন তিনি।২০১৭ সালে উপসাগরীয় ছোট্ট দেশ কাতারকে একঘরে করতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবহন সম্পর্ক ছিন্ন করে আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব ও মিসর। কাতারের প্রতিবেশীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।গত বছর আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান সংস্থা (আইসিএও) কাতারের সঙ্গে বৈরী দেশগুলোর আলোচনা শুরুর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই বিতর্ক এখন আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বুধবার আইসিএওর প্রতিনিধি আরব আমিরাতের পাইলট আয়শা বলেন, এখানে কারও বিরুদ্ধে যদি কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্বের আভাস পাওয়া যায়, তবে ৩৬ সদস্যের এ বিমান সংস্থার প্রেসিডেন্টের উচিত তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা।কাতার সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি সবসময় বিতর্ক নিরসনে সেতুবন্ধের চেষ্টা করে যাব। অদূর ভবিষ্যতে এই বিতর্ক থাকবে না বলে তিনি মনে করেন।
মন্ট্রিলভিত্তিক আইসিএও কোনো দেশের ওপর কোনো নিয়ম বেঁধে দিতে পারে না। কিন্তু ১৯২ দেশের অনুমোদন করা নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নীতি বাস্তবায়নের ক্ষমতা রাখে।এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, আইসিএওর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আল হামিলির প্রতিদ্বন্দ্বিতা সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আরব আমিরাতের একজন নেতা কীভাবে কাতারের সঙ্গে উপসাগরীয় দেশগুলোর টানাপোড়েন নিরসনে কাজ করবেন, তা নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে।
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত পরিষদের বৈঠকে আইসিএও যদি আয়শা হামিলিকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত করেন, তবে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।আয়শা হামিলি বলেন, আমি একজন নিরপেক্ষ প্রেসিডেন্ট হব। আমি সবসময় নজর দেব পদে যিনি বসে আছেন, তিনি যেন নিরপেক্ষ হন।
সূত্র- রয়টার্স
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.