মাল্টা-চাষ-পদ্ধতি
বারি মাল্টা ১ বাংলাদেশে উদ্ভাবিত একপ্রকার মাল্টা ফল (grapefruit)। এটির স্বাদ ও গন্ধ দেশী বা সাধারণ মাল্টার চেয়ে ভাল। বাংলাদেশের পাহাড়ী এলাকা বারি মাল্টা ১ এর চাষাবাদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ মাল্টা একটি সুস্বাদু ফল। সাইট্রাস ফলের মধ্যে এটি অন্যতম জনপ্রিয় ফল। পাহাড়ি ঢালু জমিতে মাল্টা চাষ ভালো হয়ে থাকে। খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা ২০০৩ খ্রীস্টাব্দে বারি মাল্টা উদ্ভাবন করেন। এর বীজ বারি মাল্টা ১ নামে জাতীয় বীজ বোর্ডের অনুমোদন লাভ করেছে। বীজ ও কলম দু’ভাবেই মাল্টার চাষ করা যায়। অক্টোবর মাসে শুরু হয়ে নভেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত মাল্টা গাছে থাকে। খাগড়ছড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকায় বারি মাল্টা চাষ করা হচ্ছে।
জলবায়ু ও মাটিঃ
কম বৃষ্টিবহুল সুনির্দিষ্ট গ্রীষ্ম ও শীতকাল অর্থাৎ শুষ্ক ও উষ্ণ জলবায়ু মাল্টা চাষের জন্য সবচেয়ে বেশী উপযোগী। বায়ুমণ্ডলেরআদ্রতা ও বেশী বৃষ্টিপাত মাল্টা ফলের গুনাগুণকে প্রভাবিত করে।বাতাসে অধিক আর্দ্রতা এবং বৃষ্টিপ্রবন এলাকায় মাল্টার খোসাপাতলা হয় এবং ফল বেশী রসালো ও নিন্ম মানের হয়। শুষ্ক আবহাওয়ায় ফলের মান ও স্বাদ উন্নতমানের হয়।
আদ্র জলবায়ুতেরোগ ও ক্ষতিকর পাকার আক্রমণ বেশী হয়।মাল্টা গাছ আলো পছন্দ করে এবং ছায়ায় বৃদ্ধি ও ফলের গুণগত মান কমে যায়।সব ধরণের মাটিতে জন্মালেও সুনিষ্কাশিত, উর্বর, মধ্যম থেকে হালকা দোয়াশ মাটি মাল্টা চাষের জন্য উত্তম। মধ্যম অম্ল থেকেসামান্য ক্ষারীয় মাটিতে মাল্টা জন্মে।তবে ৫.৫ থেকে ৬.৫ (ph) অম্লতায় ভালো জন্মে। জলাবদ্ধতা মোটেও সহ্য করতে পারেনাএবং উচ্চ তাপ ও লবণের প্রতি সংবেদনশীল।
জাতঃ বাংলাদেশের বাজারে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সবুজ ও কমলা রঙের মাল্টা বিক্রি করতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণাইন্সটিটিউট "বারী মাল্টা- ১" নামে ২০০৩ সালে মাল্টার একটি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে, যে জাতটির পাকা ফল দেখতে সবুজও খেতে সুস্বাদু।
জাতটির বৈশিষ্ট নিন্মে দেয়া হলঃ
বারী মাল্টা ১ঃ নিয়মিত ফল দানকারী উচ্চ ফলনশীল জাত। গাছ খাটো, ছড়ানো ও ঝোপালো। মধ্য ফাল্গুন থেকে মধ্য চৈত্রমাস পর্যন্ত গাছে ফুল হয়।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণাইন্সটিটিউট "বারী মাল্টা- ১" নামে ২০০৩ সালে মাল্টার একটি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে, যে জাতটির পাকা ফল দেখতে সবুজও খেতে সুস্বাদু।
জাতটির বৈশিষ্ট নিন্মে দেয়া হলঃ
বারী মাল্টা ১ঃ নিয়মিত ফল দানকারী উচ্চ ফলনশীল জাত। গাছ খাটো, ছড়ানো ও ঝোপালো। মধ্য ফাল্গুন থেকে মধ্য চৈত্রমাস পর্যন্ত গাছে ফুল হয়।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.