অধ্যক্ষ সিরাজের পরিবারের সদস্যরা নিরুদ্দেশ

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের পাওয়া যাচ্ছে না। সিরাজ উদ্দৌলার ব্যাংক হিসাব থেকে তার স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার ১৮ লাখ টাকা তুলে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। রবিবার স্থানীয় সাংবাদিকরা ফেনীর পাঠানবাড়ী এলাকায় অধ্যক্ষ সিরাজের ‘ফেরদৌস মঞ্জিল’ নামে দোতলা বাড়িটিতে গিয়ে দেখতে পান, বাড়ির দরজায় তালা ঝুলছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই পরিবারের সদস্যরা কয়েকদিন আগে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান। প্রতিবেশীরা ধারণা করেছেন, হয়তো তাদের কোন আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতে পারেন অধ্যক্ষ সিরাজের পরিবারের সদস্যরা।উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। এসময় কৌশলে তাকে ছাদে নিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থেকে বুধবার ঢাকা মেডিকেলের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে মারা যান নুসরাত। মৃত্যুর আগে তিনি লাইফসাপোর্টে ছিলেন।
এর আগে ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। ওই দিনই অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। এ মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দিয়ে আসছিলেন অধ্যক্ষের লোকজন। এরই একপর্যায়ে ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.