আরও একাধিক ছাত্রীর অভিযোগ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে!
২০১০ সালে শিক্ষাঙ্গানে যৌন নিপীড়ন-সহিংসতা রোধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা প্রণীত হলেও মানছে না ফেনীসহ দেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে দিন দিন বাড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনা।স্থানীয়দের অভিযোগ, ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার নুসরাতসহ একাধিক শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের শিকার হলেও কমিটির কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় বেপরোয়া ছিলো অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা। এদিকে ব্যর্থতার দায়ে মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ বাতিলের দাবি উঠেছে। জেলা প্রশাসক বলছেন, তদন্তে প্রমাণিত হলে মাদ্রাসা কমিটি বাতিল করা হবে।
ছাত্রীরা বলছেন, ওনি যে শুধু নুসরাতের সঙ্গে এমন করেছেন তা না। আমাদের অনেকের সাথে এমন করেছে। ওনার একটা অভ্যাস ছিল এটা।শুধু নুসরাত জাহান রাফি আর এই শিক্ষার্থীই নয়, সোনাগাজী ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার এই অধ্যক্ষের হাতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কীভাবে যৌন হয়রানির শিকার হতো তারই বর্ণনা। কোন প্রতিকার হতোনা বলে অনেকে অভিযোগ করতেও আগ্রহ হারায় ভয়ে। শিক্ষাঙ্গনে যৌন নিপীড়ন-সহিংসতা রোধে উচ্চ আদালতের একটি নির্দেশনা ২০১০ সালে প্রণীত হয়।সেখানে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন-নিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা প্রণয়ন, কমিটি গঠন এবং এসব তথ্য সব শিক্ষার্থীকে জানানোর বিধান আছে। আর এ নির্দেশনার বাস্তবায়ন চান এই আইনজীবী।
ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট শাহিনুজ্জামান বলেন, যদি প্রশাসনের নজরদারীতে এসব কমিটি থাকতো তাহলে এমন যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করতে সহায়ক হতো।বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ফেনী জেলা শাখার এই নেতা মনে করেন, অভিযোগ পেয়েও অভিযুক্ত সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা না নেয়ায় মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করা উচিৎ।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.