সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    রাতের পাখি রাতচরা

    রাতের পাখি রাতচরা

    আবাসিক পাখি। গ্রাম-গঞ্জে নিবাস। বিশেষ করে হালকা ঝোপজঙ্গল কিংবা বাঁশবনে বিচরণ বেশি। প্রজনন মৌসুম ছাড়া বেশির ভাগ সময় একা একা বিচরণ করে। ঘুম ঘুম চোখে তাকায়। সূর্যাস্তের খানিকটা পরেই ঝোপজঙ্গলের ভিতর থেকে ডাকতে শুরু করে ‘চউঙ্ক-চউঙ্ক-চউঙ্ক’ সুরে। এদের শারীরিক গড়ন একটু ব্যতিক্রম। গায়ের বর্ণ অনেকটাই গাছের মরা ডাল বা শুকনো পাতার মতো। গাছের ডালে বা মাটিতে বসলে খুব সহজেই এদের শনাক্ত করা যায় না। অপরদিকে মাটিতে বসে থাকলে শুকনো পাতার মতেই মনে হয়। মাড়িয়ে গেলেও টের পাওয়া যায় না; পাতা নাকি পাখি! বর্ণচোরা বিধায় নিরাপদে থাকার সুযোগ পায়। এক সময় সুলভ দর্শন হলেও হালে অসুলভ হয়ে উঠছে শুধুমাত্র আবাস সংকটের কারণে। গ্রামে আগের মতো ঝোপজঙ্গলও নেই, নেই বাঁশঝাড়ও। ফলে এরা ভীষণ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। 

    পাখির বাংলা নাম : ‘রাতচরা’, ইংরেজি নাম: ‘লার্জ-টেইলড নাইটজার’, (Large-tailed Nightjar) বৈজ্ঞানিক নাম: Caprimulgus macrurus । এরা ধুকধুকিয়া, টঙ্কপাখি নামেও পরিচিত। আমাদের দেশে আরও পাঁচ ধরনের রাতচরার বাস রয়েছে। এ প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ২৫-৩৩ সেন্টিমিটার। গায়ের উপরের রঙ হলদেটে-ধূসর মিশ্রিত কালো ছিট। ঘাড়ের পাশে লালচে কালো ছাইরঙা ছোপ। চোখের পাশ থেকে চিবুক পর্যন্ত রয়েছে অল্পকটি খাড়া লোম। লেজ ও ডানা কিছুটা লম্বা। বুক থেকে পেট পর্যন্ত রয়েছে আড়াআড়ি ডোরা দাগ। গলায় হালকা সাদা বন্ধনী। লেজের তলার পালক ফিকে রঙের। পা লালচে-বেগুনি। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম মনে হলেও সামান্য পার্থক্য রয়েছে। পার্থক্যটি হচ্ছে স্ত্রী পাখির লেজের প্রান্ত হলদেটে-লালের মিশ্রণ।

    প্রধান খাবার : কীটপতঙ্গ। মূলত নিশাচর কীটপতঙ্গ শিকার করে। প্রজনন মৌসুম মে থেকে জুন। গাছে নয় সরাসরি মাটির উপরে বাসা বাঁধে। শুকনো পাতা জড়ো করে তার উপরে ডিম পাড়ে। ডিমের সংখ্যা ২টি। ফুটতে সময় লাগে ১৬-১৮দিন।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !