মুক্তিপন দিয়ে 'অপহৃত' জেলেরা ফিরেছে!

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) হাতে 'অপহৃত' বাংলাদেশি জেলেরা একদিন পর ফিরেছেন। বুধবার রাতে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের জালিয়া পাড়া দিয়ে ট্রলারসহ তারা ফিরে আসেন। তবে মুক্তিপণ দিয়ে জেলেরা ফিরেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি মিয়ানমার বিজিপির পক্ষ থেকে অস্বীকার করে আসছিল বলে জানিয়েছিলেন টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার। জেলেদের ফেরত আসার বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে তিনি জানান।
ফিরে আসা জেলেরা হলেন আজিম উল্লাহ মাঝি, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, আবুল কালাম ও মো. হাসান। তারা সবাই টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ বাজার পাড়ার বাসিন্দা। এদেরম ধ্যে মো. হাসান পুরনো রোহিঙ্গা। তিনি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে টেকনাফে আশ্রয় নেন।টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ফজলুল হক বলেন, ‘নাফ নদীতে মাছ শিকারের সময় মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর হাতে আটক জেলেরা রাতে ফিরেছে বলে স্থানীয়দের কাছে শুনেছি। হয়তো টাকার বিনিময়ে তারা ফিরেছেন।’
ট্রলারের মালিক আমান উল্লাহ বলেন, ‘নাফ নদী থেকে তার ট্রলারসহ ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা ফিরেছেন।’ এর আগের দিন অপহৃত জেলেদের ছাড়তে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল বলে অভিযোগ তার।স্থানীয়রা বলেন, নাফ নদীতে মাছ শিকাররত অবস্থায় ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা রাতে ফিরেছে। তারা টাকার বিনিময়ে ফিরে এসেছে। তবে টাকার পরিমাণ জানা নেই। এর আগে মঙ্গলবার সকালে শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা আমান উল্লাহর মালিকাধীন একটি ট্রলারসহ চার জেলে নাফনদীতে মাছ শিকার করতে যান। কিছুক্ষণ পর মিয়ানমার থেকে একটি স্পিড বোট যোগে এসে বিজিপি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে যায়।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.