সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    নুসরাতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে যা আছে!

    নুসরাতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে যা আছে

    ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা যাওয়া ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল মর্গে তার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে মরদেহ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন লেখেন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক শামছুর রহমান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন এএসআই মিনারা খাতুন ও কনস্টেবল মো. রমজান আলী।প্রতিবেদনে এসআই মোহাম্মদ শামছুর রহমান বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে স্ট্রেচারে শোয়ানো অবস্থায় নুসরাত জাহান রাফির মরদেহ শনাক্ত করেন নুসরাতের চাচাতো ভাই মোহাম্মদ আলী। এরপর সাক্ষীদের উপস্থিতিতে আয়া চাঁন বিবির সহায়তায় মরদেহটি ওলট-পালট করে দেখা হয়।

    নুসরাতের বয়স ১৮ বছর উল্লেখ প্রতিবেদনে বলা হয়, তার মাথার চুল কালো ও পোড়া, লম্বা অনুমান ১৮ ইঞ্চি। কপাল স্বাভাবিক। উভয় চোখ ও মুখ বন্ধ, নাক দিয়ে সাদা ময়লা বেরিয়ে এসেছে। মুখমণ্ডল গোলাকার, উভয় কান, থুতনি, গলা, ঘাড়সহ পোড়া ও ঝলসানো। উভয় হাতের আঙুল পর্যন্ত রাউন্ড গজ-ব্যান্ডেজ, যাতে পোড়া ঝলসানো। গলার নিচ থেকে বুক-পেট-পিঠ-যৌনাঙ্গ-মলদ্বারসহ উভয় পায়ের পাতা পর্যন্ত রাউন্ড গজ-ব্যান্ডেজ, যাতে পোড়া ঝলসানো। গায়ের রঙ ফর্সা, লম্বা অনুমান ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। পরনে রাউন্ড গজ ছাড়া কিছু নেই, সরকারি চাদর দিয়ে ঢাকা।

    ককে, কখন এবং কিভাবে নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়া হয় সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে সুরতহাল প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে ও ঢামেক বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক স্বাক্ষরিত মৃত্যুর প্রমাণপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়- গত ৬ এপ্রিল সকাল অনুমান পৌনে ১০টায় ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার সাইক্লোন সেন্টার ভবনের ছাদে নুসরাত জাহানের গায়ে কেরোসিন অথবা পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন। 

    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দগ্ধ হওয়ার চিকিৎসার জন্য নুসরাতকে প্রথমে সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সর্বশেষ উন্নত চিকিৎসার জন্য একই তারিখে অর্থাৎ ৬ এপ্রিল বিকাল তিনটায় ঢামেকের বার্ন ইউনিটের আইসিইউ ওয়ার্ডের রেড ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নুসরাতকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ হাসপাতালের দেওয়া মৃত্যু সনদে উল্লেখ থাকলেও, নুসরাতের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !