সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    ইলিশের দামে আগুন, মাছ মাংস সবজিও হাতই দেওয়া যায় না!

    ইলিশের দামে আগুন, মাছ মাংস সবজিও চড়া

    পহেলা বৈশাখ রোববার। তাই শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মানুষ ছুটে গেছেন ইলিশের বাজারে। তবে দাম শোনার পর অনেকেই ইলিশ না কিনেই ঘরে ফিরেছেন। বাজারে এদিন ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতি পিস ইলিশ বিক্রি হয়েছে দুই হাজার থেকে দুই হাজার পাঁচশত টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় এক হাজার ছয়শত থেকে এক হাজার আটশত টাকায়।অন্যদিকে মাছ, গরুর মাংস, মুরগি ও সবজিও বিক্রি হয়েছে চড়া দামে। তবে চাল, ডাল, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম ছিল স্থিতিশীল। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, নয়াবাজারসহ একাধিক বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

    রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতি পিস ইলিশের দাম বিক্রেতারা হাঁকছেন তিন হাজার টাকা, বিক্রি হয়েছে দুই হাজার থেকে দুই হাজার তিনশত টাকায়। যা গত সপ্তাহে ক্রেতারা কিনেছেন ষোলো শত থেকে আঠারো শত টাকার মধ্যে। এক কেজির একটু বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে দুই হাজার পাঁচশত থেকে তিন হাজার টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় এক হাজার নয়শত থেকে দুই হাজার একশত টাকা।

    ৫০০-৬০০ গ্রামের প্রতি হালি (৪ পিস) ইলিশ বিক্রি হয় আটাশ শত থেকে তিন হাজার টাকায়। এ ছাড়া রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের বার্মিজ ইলিশও বিক্রি করতে দেখা গেছে। কেজিতে এই ইলিশের দাম সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা হেঁকেছেন বিক্রেতারা। সে হিসেবে প্রতিটি ইলিশ ১০ থেকে ১১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। তাছাড়া বাজারে বড় ইলিশের পাশাপাশি জাটকা ইলিশও বিক্রি করতে দেখা গেছে।

    কারওয়ান বাজারের ইলিশ বিক্রেতা দবির ইসলাম বলেন, বৈশাখ উপলক্ষে বাজারে ইলিশ বেচাকেনা হচ্ছে। গত সপ্তাহের চেয়ে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। হিমাগারের ইলিশের সঙ্গে বার্মিজ ইলিশ বাজারে এসেছে। অনেক জেলে নদীতে জাল ফেলেছে। তাই ছোট আকারের ইলিশও বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে দাম কমছে না। কারণ পাইকাররা বেশি দামে মাছ ছাড়ছেন। তাই বেশি দামে কিনে বেশি দামেই আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে।

    একই বাজারে ইলিশ কিনতে আসা মো. রকিবুল ইসলাস বলেন, পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে মাছ বিক্রেতারা আগেভাগেই ইলিশের দাম বাড়িয়ে রেখেছিল। এর পরও এ সপ্তাহে দাম দ্বিগুণ হয়েছে। তাই ইলিশ না কিনেই বাসায় ফিরতে হবে হয়তো।

    এদিকে ইলিশের সঙ্গে অন্য মাছের দামও চড়া। পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া ছাড়া সব মাছই বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৪০-১৬০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৬০-১৮০ টাকা, রুই আকারভেদে ৩৫০-৬০০ টাকা, পাবদা ৬০০-৭০০ টাকা, টেংরা ৭০০-৭৫০ টাকা, শিং ৪০০-৫৫০ টাকা কেজি, বোয়াল ৫০০-৮০০ টাকা ও চিতল মাছ ৫০০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

    সব ধরনের সবজি গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হয় শুক্রবার। খুচরা বাজারে বরবটি ৭০-৮০ টাকা, পটল ৬০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০-৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, করলা মান ভেদে ৬০-৮০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। প্রতি পিস লাউ ৭০-৮০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৫৫-৬৫ টাকায় বিক্রি হয়। ধুন্দুল ৭০-৮০ টাকা, বেগুন ৪০-৬০ টাকা, মুলা ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। পাকা টমেটো ৩০-৫০ টাকা, গাজর ৩০-৪০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

    অন্যদিকে গরুর মাংস বাজার ভেদে বিক্রি হয়েছে ৫৩০-৫৬০ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগির কেজি আগের সপ্তাহের মতোই ১৬৫-১৭৫ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২১০-২২০ টাকা কেজি। সোনালি কক বিক্রি হয়েছে ২৭০-২৮০ টাকা কেজি।

    সূত্র- যুগান্তর

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !