উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ডাবের পানি
ডাব একটি সাধারণ ফল, যা সারা বছর সব জায়গায় পাওয়া যায়। ফলটি কচি অবস্থায় সবুজ এবং পরিপক্ব অবস্থায় হলদেটে ভাব ধারণ করে। এই ফলটি কদর সবচেয়ে বেশি গ্রীষ্মকালে। কারণ এ সময় প্রচন্ড গরমে তৃষ্ণা মেটাতে মানুষ ডাবের পানি পান করে থাকেন। তবে আপনি কি জানেন, তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি ডাব ছয়টি রোগও নিরাময় করে থাকে। চলুন এবার তা জেনে নেওয়া যাক।
১. ডাবের পানির প্রাকৃতিক মিনারেলস শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং সেই সাথে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে। এতে করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে, পাশাপাশি অন্যান্য কার্ডিওভ্যসকুলার রোগের সম্ভাবনা কমে।
২. প্রতিদিন অন্তত এক গ্লাস ডাবের পানি পান করার ফলে বুকজ্বালা, হজম সমস্যা, অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপার সমস্যা দূরে থাকে। খাবার হজমে সহায়তা করে হজম সংক্রান্ত সকল সমস্যা দূর করে ডাবের পানি।
৩. ওজন কমানোর জন্য ডায়েটিং করছেন? তাহলে অন্যান্য পানীয়ের মধ্যে বেছে নিন ডাবের পানি। যেকোনো ফলের জুসের চাইতে বেশি কার্যকরী এই ডাবের পানি। কারণ ডাবের পানিতে বিন্দুমাত্র ফ্যাট নেই।
৪. রিবোফ্লেবিন, নিয়াসিন, থায়ামিন এবং পেরিডক্সিন সমৃদ্ধ ডাবের পানি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সহায়তা করে। এছাড়া ডাবের পানির অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল উপাদান বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ থেকেও রক্ষা করতে সহায়তা করে। এছাড়া ডাবের পানি খাবার হজমে বিশেষভাবে সহায়ক। এতে করে বদহজমের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা নিয়মিত ডাবের পানি পান করার অভ্যাসে সহজেই দূর করা সম্ভব।
৫. ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্যকরী মিনারেল যেমন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। এই মিনারেলসমূহ কিডনির বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে ।
৬. ডাবের পানি ত্বকের জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী। নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে নানা সমস্যা যেমন ব্রণ, মেছতা, ছোপ ছোপ দাগ, উজ্জ্বলতা হারানো, ত্বকের ইনফেকশন এইসব সমস্যা দূর কর হয়। পানের পাশাপাশি ত্বকে সরাসরি ডাবের পানি ব্যবহারও অনেক উপকারী।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.