কক্সবাজার সৈকতের প্রবেশদ্বারে বিশৃঙ্খল অবস্থা
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে আসেন হাজার হাজার পর্যটক। কিন্তু এই সৈকতের প্রবেশদ্বারগুলোর বিশৃঙ্খল অবস্থা। সচেতন মহলের দাবি, পর্যটন নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনে সরকারি সংস্থাগুলো কিছুই করেনি। আর সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতার কারণে কিছু করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্রবেশদ্বার সুগন্ধা পয়েন্ট। এই পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক সৈকতে প্রবেশ করেন। কিন্তু প্রবেশদ্বারেই বিশৃঙ্খল অবস্থা। এলোমেলোভাবে রাখা ইজিবাইক, রিকশা, হকার, নোংরা পরিবেশ ও ভিক্ষুকের উৎপাত।
শুধু সুগন্ধা পয়েন্টের প্রবেশদ্বার নয়, লাবণী ও কলাতলী পয়েন্টের প্রবেশদ্বারগুলোর একই অবস্থা। ফলে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে এবং কক্সবাজার ভ্রমণে অনেকেই আগ্রহ হারাচ্ছেন।পর্যটকরা জানান, অটোরিকশা রাখার কারণে হাঁটাচলায় খুব কষ্ট হয়। পরিবেশ বিশৃঙ্খল মনে হয়।' সচেতন মহলের দাবি, সৈকতের প্রবেশদ্বারগুলো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হওয়া দরকার। কিন্তু সরকারি সংস্থাগুলো এখনো সৌন্দর্য বর্ধনে কিছুই করেনি।
সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের বলেন, অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল কিন্তু কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি। কাজও শুরু হয়নি।আর কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল ফোরকান আহমদ জানান, সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতার কারণে কক্সবাজারকে আধুনিক ও বিশ্বমানের পর্যটন শহর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, 'যার যেটুকু অবদান রাখা প্রয়োজন সেটুকু রেখেই আমরা কক্সবাজারকে সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তুলবো।' হোটেল মালিক সমিতির দেয়া তথ্য মতে, প্রতি মৌসুমে কক্সবাজার ভ্রমণে আসে ১৫ লাখের অধিক দেশি-বিদেশি পর্যটক। যারা ছয়টি পয়েন্ট দিয়ে কক্সবাজার সৈকতে প্রবেশ করে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.