যদি ভারত বাংলাদেশকে আক্রমন করে তবে ফলাফল কেমন হবে বলাে তো?
যদিয়োবা আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি এর সম্ভাবনা ১% বা তারো কম কারন শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা অর্থাৎ বাংলাদেশের পাশে অবস্থান করা ভারতীয় রাজ্য গুলো ছাড়া আর কোন রাজ্যের কাউকে আমি "বাংলাদেশ তাদের শত্রু বা তাদের জন্য হুমকি" এটা ভাবতে দেখি বা শুনিনি, তারা তাদের শত্রু ও মাথাব্যথা হিসেবে পাকিস্তান ও চীন কেই দেখে। তো ধরেই নিলাম বাংলাদেশের সাথে কিছু একটা নিয়ে ভারতের সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেলো। তো সেইখেত্রে ভারত কতটুকু সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে পাড়বে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে..!
Indai vs China vs Pakistan |
আপনি জানেন কি ভারতীয় সামরিক শক্তির মোটামুটি ৭০% বা তারো বেশি মোতায়েন করা আছে পাকিস্তান ও চীন কে কাউন্টার করতে ঐ সকল সীমান্তবর্তী এলাকা বা রাজ্যে। আর প্রতিনিয়ত ভারত ঐ দুই সীমান্তে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে, একই সাথে পাকিস্তান ও চীন ও একই কাজ করছে ফলে ভারতের ঐ অঞ্চল থেকে সামরিক শক্তি কমিয়ে এনে বিপদের পড়ার বিন্দু মাত্র ইচ্ছা নাই বললেই চলে। কেননা স্বাভাবিক পরিস্থিতি তেই যখন এই সীমান্ত গুলো উত্তেজিত থাকে তখন ভারত অন্য দেশের সাথে যুদ্ধে জরালে এবং সামরিক শক্তি ঐ এলাকা থেকে হ্রাস করলে পাক-চীন যে আক্রমণ করবেনা সেই গ্যারান্টি সয়ং চীন-পাকিস্থান ও দিবে না। আর নিশ্চই ভারত ১০-১৫% সামরিক শক্তি রিজার্ভ করে রেখেছে। আর বিদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন গুলোকে ঠ্যাকাতে প্রতিদিন ভারতের কি পরিমাণ ভোগান্তি যাচ্ছে সেতো আমাদের চাইতে ভারতীয়রাই বেশি ভালো জানার কথা,, অর্থাৎ কোন ইমার্জেন্সি ঘটলেও ভারত তার সামরিক শক্তির সর্বচ্চ ২০-২৫% এর বেশি বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যবহার করতে পারবেনা।
আর সামরিক হামলার গাণিতিক নীতি অনুযায়ী সর্বনিম্ন 1:3 (কিছু মতে 1:5/1:7 ও) নীতিতে হামলা করা যায়,, অর্থাৎ শত্রুর সংখ্যা যদি ১ হয় তবে আপনাকে মিনিমান ৩ জন দিয়ে হামলা করতে হবে যদি জিততে চায় হামলাকারি। অর্থাৎ বাংলাদেশ কে পরাজিত করতে চাইলে ভারত কে নিম্নে ১৫ লক্ষ সৈন্যদল দিয়ে আক্রমণ করাতে হবে। অপরদিকে বাংলাদেশ তার সামরিক শক্তির সর্বচ্চ ৮০-৮৫% অব্দি ভারতের বিপক্ষে ব্যবহারে সম্পূর্ণ সক্ষম কারন তখন শত্রু বলতে কেবল ই ভারত। আর যদি কোনভাবে মায়ানমার বাড়াবাড়ি করে বা কিছু করতে চায় তবে তাদের সীমান্তেই ঠ্যাকানোর জন্য বাংলাদেশের ১০% সামরিক শক্তি যথেষ্ট। আর সবচাইতে বড় কথা হলো ভারত বাংলাদেশ কে আক্রমণ করলে শুধুমাত্র নিয়মিত বাহিনীর ব্যবহার করতে পারবে রিজার্ভ নয় কারন রিজার্ভ বাহিনী আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য আক্রমণ করার জন্য প্রশিক্ষিত না। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ তার নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি সম্পূর্ণরূপে রিজার্ভ ফোর্স তো ব্যবহার করতে সক্ষম পাশাপাশি দেশের কোটি কোটি মানুষের সাহায্য তো আছেই।
বাংলাদেশ এয়ার ফোর্স |
যুদ্ধের কলাকৌশল ও গেরিলাযুদ্ধে বাংলদেশ কতটা দক্ষ তা পৃথিবীর অনেক দেশ ই জানে তাই এতটুকু ভরসা করতে পাড়ি যে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ। তবে হ্যা যুদ্ধ যেহেতু বাংলাদেশ সীমান্তে বা দেশের মাটিতে হবে এবং আমাদের এয়ার ডিফেন্স দুর্বল হবার কারনে ক্ষয়ক্ষতি আমাদের ই বেশি হবে [যদিয়োবা ২০২২ এর ভেতর এই সমস্যার ৫০-৬০% ই সমাধান হয়ে যাবে]। আর হ্যা কেউ বোকার মত পারমাণবিক অস্ত্রের কথা তুলেন না কারন এটা একবিংশ শতাব্দী, এই যুগে পারমানবিক অস্ত্র ভয় দেখানোর বস্তু ছাড়া কিছুই না, যদি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার এতটাই সহজ হতো তবে অনেক আগেই উঃকোরিয়া, দঃকোরিয়া, ভিয়েতনাম, ইরান, সিরিয়া, ভেনিজুয়েলা, ইউক্রেইন বা আর্জেন্টিনার মাথায় পারমাণবিক বোমা পরে যেতো।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.