কিলিং মিশনে মোস্তাকিন অন্তরালে চারজন
গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি এলাকায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কলেজছাত্রী শারমিন আক্তার লিজা খুন হন। এ ঘটনায় গ্রেফতার মো. মোস্তাকিন বৃহস্পতিবার বিকালে গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। নিহত লিজা কোনাবাড়ি ক্যামব্রিজ কলেজের মানবিক বিভাগের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী এবং স্থানীয় আমবাগ এলাকার মো. সফিকুল ইসলাম সফিকের মেয়ে। অভিযুক্ত মোস্তাকিন স্থানীয় লিঙ্কন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং কোনাবাড়ির আবুল কাসেমের ছেলে। পুলিশের কোনাবাড়ি থানার ওসি মো. এমদাদ হোসেন জানান, আটক মোস্তাকিনকে নিহত লিজার ভাইয়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। পরে বিকাল ৪টার দিকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হামিদুল ইসলামের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মোস্তাকিন। জবানবন্দি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি জানান, প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার জেরে মোস্তাকিন একাই লিজাকে খুন করে। হত্যাকাে র আগে মোস্তাকিন এক ব্যক্তির কাছে হত্যায় ব্যবহৃত চাকুটি নিয়ে আসে। হত্যাকাে র পর তাকে নির্বিঘ্নে ঘটনাস্থল থেকে পালাতে এবং চারদিকে নজরদারি রাখতে মোস্তাকিনের চারজন সহযোগী ছিল। এই সহযোগীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে। আশা করছি দুই এক দিনের মধ্যে হত্যাকাে র অন্তরালে থাকা অপরাধীদের গ্রেফতার সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে কলেজের পরীক্ষা শেষে লিজা তার এক বান্ধবী ও সতীর্থের সঙ্গে বাসায় ফেরার পথে কোনাবাড়ি কাঁচাবাজার এলাকায় পৌঁছলে মোস্তাকিন কিছু বুঝে ওঠার আগে চাকু দিয়ে লিজার বুকে আঘাত করে। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী মোস্তাকিনকে আটক করে পুলিশে দেয় এবং লিজাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ও গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখান থেকে ঢাকার উত্তরায় বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার গলার নিচে বুকে চাকুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চাকুটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.