ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসা করা যাবে না -এনবিআর চেয়ারম্যান
বাজেটের পর ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।তিনি বলেন, নিবন্ধনের পর খাতভিত্তিক ভ্যাটের হার নির্ধারণ করা হবে। যারা রেয়াত পাবেন, তাদের হার ১৫ শতাংশ হবে। অন্যদের জন্য আদায়যোগ্য সহনীয় মাত্রায় ভ্যাটের হার নির্ধারণ করা হবে।এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে বুধবার প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন। আলোচনায় বাংলাদেশ পেপারস মিল অ্যাসোসিয়েশন, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, হাইজিন পণ্য প্রস্তুতকারক সমিতি, বায়রা, কুরিয়ার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এ সময় এনবিআরের সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব রেজাউল করিম বলেন, সব রেস্তোরাঁ এক বিবেচনায় নেয়ার কারণে দেশীয় ছোট আকারের রেস্তোরাঁর জন্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, একেবারে ছোট রেস্তোরাঁ বাদে সব ধরনের রেস্তোরাঁর জন্য ভ্যাট বাধ্যতামূলক। আন্তর্জাতিকমানের যেসব রেস্তোরাঁ রয়েছে, সেগুলোর ভ্যাট ১৫ শতাংশই থাকবে। দেশীয় মাঝারি আকারের রেস্তোরাঁর ভ্যাটের হার যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা হবে।মোশাররফ হোসেন বলেন, আগামী বাজেটে আয়কর সুষম করার চেষ্টা করব। শিল্পায়নকে গুরুত্ব দিয়ে আমদানি শুল্ক ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছি। তবে কিছু কিছু খাতে দীর্ঘদিন প্রণোদনা দিলেও তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে না। প্রণোদনা দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকলে বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে না। এজন্য দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় দেয়া প্রণোদনার মেয়াদ ও সুবিধা নির্দিষ্ট করা হবে।
বাংলাদেশ পেপারস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, দেশে প্রায় ১০৫টি পেপার মিল থেকে উৎপাদিত কাগজ দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে রফতানিও করছি। তবে কাঁচামাল আমদানিতে আমরা কোনো সুবিধা পাচ্ছি না।অন্যদিকে বন্ড সুবিধায় আমদানি করা কাগজ খোলাবাজারে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানির ক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসের কারণে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছি না। এ সময় তিনি ভ্যাট হার কমানো ও ট্যারিফ ভ্যালু উঠিয়ে দেয়ার দাবিও জানান।
জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেন, বন্ডের অপব্যবহার কঠোর হাতে দমন করছি। অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা বন্ড সুবিধায় আমদানি করা কাগজ বন্দর থেকে সরাসরি খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন কুরিয়ার কোম্পানি ৯০ শতাংশ চিঠি গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে না। তাদের অফিসে এসে নিতে হয়। এর পরিবর্তন জরুরি।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.