নুসরাত হত্যা ধামাচাপা দিতে অর্থ লেনদেন, তদন্তে সিআইডি
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে অর্থ লেনদেন হয়েছে কি না, তা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মানি লন্ডারিং আইনে কোনো অপরাধ হয়েছে কি না, তাই দেখা হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সংবাদ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ড ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে কিংবা ঘটনা ধামাচাপা দিতে কোনো অবৈধ লেনদেন হয়েছে কিনা কিংবা কে বা কারা এসব লেনদেনের সঙ্গে জড়িত সেসব খুঁজে করতে কাজ শুরু করছে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট।সিআইডির সিনিয়র সহকারী বিশেষ পুলিশ সুপার শারমিন জাহান এ তদন্ত শুরুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত আলিমের আরবি পরীক্ষা প্রথম পত্র দিতে গেলে মাদ্রাসায় দুর্বৃত্তরা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ দিন পর ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়। পরদিন ১১ এপ্রিল বিকেলে তার জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.