ব্রণের সমস্যা দূর করবেন যেভাবে
টিনএজার এবং তরুণীদের মুখে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটি দেখা দেয়, সেটি হলো ব্রণ। তবে ব্রণ যে শুধু নির্দিষ্ট বয়সীদেরই হবে, এমন নয়। ব্রণ হতে পারে যে কোনো বয়সী নারী-পুরষেরই। ত্বকের এই সমস্যাটি আমাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য দায়ী। এমন সমস্যায় পড়লে তা দূর করার জন্য নানা উপায় খুঁজে বেড়ান অনেকেই। তবে যদি চান একদিনেই আপনার ব্রণ দূর হয়ে যাক, তাহলে নিজের উপায়গুলো বেছে নিতে। মুখের অতিরিক্ত তেল টেনে নেওয়ার ক্ষমতা আছে টুথপেস্টের। ফলে তৈলাক্ত ত্বকের কারণে যাদের মুখে ব্রণ বের হয়, তারা টুথপেস্ট ব্যবহার করে উপকার পেতে পারেন। তবে বেশি নয়, খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন ব্রণের জায়গায়। সমস্যা না হলে পরিমাণ বাড়ান।
গরম পানিতে গ্রিন টি ফোটান। এরপর সেই গ্রিন টি একদম ঠান্ডা করে ব্রণের জায়গায় ব্যবহার করুন। তুলোয় ভিজিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভালো করে ত্বকের ওপর মিশতে পারবে চায়ের মিশ্রণটি। যদি টি ব্য়াগ থেকে গ্রিন টি বানান, তাহলে ঠান্ডা গ্রিন টি ব্যাগটিও রাখতে পারেন ত্বকের ওপর। মিনিট ২০ রাখার পর ধুয়ে নিন। ব্রণ দূর হবে।শসায় রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। এর প্রতিটি উপাদানই ত্বকের জন্য মারাত্মক ভালো। শসা থেঁতো করে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ঠান্ডাপানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এছাড়াও শসাকে অন্যভাবে ব্যবহার করতে পারেন। শসা গোল গোল করে কেটে অন্তত একঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি খেয়ে নিতে পারেন বা ওই পানি দিয়ে মুখও ধুয়ে নিতে পারেন।
লেবুর রস তুলোয় করে লেবুর রস ব্রণের জায়গায় লাগিয়ে নিতে পারেন। লেবুর রসের সঙ্গে দারুচিনির মিশ্রণ তৈরি করে, রাতে শুতে যাওয়ার আগে সেটা ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখতে পারেন। সকালে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নেবেন।রসুন ব্রণের বড় শত্রু। এটি ব্যবহার করাও খুব সহজ। এক-দু কোয়া রসুন দুই টুকরো করে কেটে নিন। তারপর ব্রণের জায়গায় রসটুকু লাগান। মিনিট পাঁচেক পরে ধুয়ে ফেলুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি করলে পরদিন সকালে ত্বকের উন্নতি টের পাবেন।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.