বিরিয়ানি ভাগ নিয়ে সংঘর্ষ
ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরের এক জনসভায় বিরিয়ানি বণ্টনের সময় কংগ্রেসের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।কংগ্রেস প্রার্থী নাসিমুদ্দিন সিদ্দিকীর সমর্থকরা সংঘর্ষে দায়ী বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নির্বাচনী প্রচারণার সময় এ সংঘর্ষে কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ভারতে লোকসভার নির্বাচন আসন্ন। আর নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘটল এমন ঘটনা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার সাবেক বিধায়ক মাওলানা জামিলের বাসভবনে কংগ্রেসের নির্বাচনী বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল।বৈঠকের পর দুপুরের খাবারের জন্য বিরিয়ানি পরিবেশন করার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠকের আগেই বিরিয়ানি বণ্টন শুরু হলে উপস্থিত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে কংগ্রেস সমর্থকদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। পুলিশের সার্কেল অফিসার রাম মোহন শর্মা বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।
সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে ৯ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও যে কোনো ধরনের সহিংস পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই গ্রামে নিরাপত্তা জোরদার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
চৌকিদারের কাজ পাহারা দেয়া, ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখা আর গল্প বলা নয়ঃ কোনো কাজই করেননি চৌকিদার। কেবল নতুন নতুন গল্প শুনিয়েছেন।সেজন্য পাঁচ বছরের কর্মকালের বখশিশ দেয়া হয়ে গেছে। এবার দেশের মালিক জনগণ এই চৌকিদার মোদিকে ছাঁটাই করবেন।শনিবার আগরতলায় এ কথা বলেছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে নির্বাচনী সমাবেশের প্রধান বক্তা সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, শুধু ত্রিপুরার জন্য নয়, সিপিআই(এম)’র জন্য নয় ভারতের সাধারণ মানুষের শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠস্বর সংসদে পৌঁছে দেয়ার জন্যই ত্রিপুরার দুই আসন থেকে সিপিআই(এম) প্রার্থীদের জয়ী করা নিতান্ত জরুরি।
ইয়েচুরি বলেন, চৌকিদারের কাজ পাহারা দেয়া, রাতে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখা আর গল্প বলা নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া, স্বচ্ছ ভারত, মেক ইন ইন্ডিয়ার মতো নতুন নতুন কাহিনী আর স্লোগান মেশিন। এবার সময় এসে গেছে, গল্প শোনানোর জন্য পাঁচ বছর দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যদি চৌকিদার হন তবে মালিক দেশের জনগণ। দেশের অখণ্ডতা ব্যাহত করছে, শাসকের হাল বেহাল, যুবকরা কাজ না পেয়ে হন্যে হয়ে ঘুরছে। কারণ চৌকিদার তার কাজ ঠিকমতো করেননি। সেজন্য দেশের জনগণ এবার এই চৌকিদারকে ছাঁটাই করবেন।তিনি আরও বলেন, এবারের নির্বাচন সাধারণ নির্বাচন নয়। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল সংবিধান অনুযায়ী আমাদের দেশে যে ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণ তন্ত্র রয়েছে তার অস্তিত্ব থাকবে কিনা।
কারণ গত পাঁচ বছরে নরেন্দ্র মোদির সরকার সংবিধানের সবকটি স্তম্ভের ওপর লাগাতার হামলা চালিয়েছে। সংবিধানে যে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমতার কথা বলা আছে তা আক্রান্ত। গরিব সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ বাড়ছে।কৃষকরা সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করছেন। মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কৃষকের ঋণ মওকুফ করবেন। তাদের ফসলের দেড়গুণ দাম দেবেন। করেননি।উল্টো নিজের বন্ধু বৃহৎ পুঁজিপতিদের সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা ঋণ মওকুফ করেছেন। অথচ অন্নদাতা কৃষক মরছে। কথা ছিল বছরে দুই কোটি বেকারকে কাজ দেবেন। ৪৫ বছরে আজ দেশে বেকারই সর্বোচ্চ। নোট বাতিল করে মৎস্যজীবী থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কোমর ভেঙে দিয়েছেন।
দেশের কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। জিএসটি’র জুলুমে বন্ধ হয়ে গেছে বহু ক্ষুদ্র ব্যবসা। অন্যদিকে দেশের ১ শতাংশ বড়লোকের হাতে জমা হয়েছে সম্পদের ৭৩ শতাংশ। ‘আচ্ছে দিন’ এর কথা ছেড়ে দিন। সাধারণ মানুষ বলছেন মোদি সাহেব এই ‘আচ্ছে দিন’ চাই না- আমাদের পুরনো দিন ফিরিয়ে দিন। ইয়েচুরি বলেন, দেশে সম্পদের কোনো অভাব নেই। নীরব মোদি, মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়ারা ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেল। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বেনামে কর্পোরেটরা টাকা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলছে এই বন্ডের ৯৫ শতাংশ টাকা বিজেপি পে?য়েছে। কারণ মোদি সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা?? বেসরকারি হাতে তুলে দিচ্ছেন। আম্বানিকে দেশের ৬টা বিমানবন্দর উপঢৌকন দিলেন, রাফালে চুক্তিতে আম্বানিকে ৬৪ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা পাইয়ে দিলেন। এই লুট বন্ধ করে যদি পরিকাঠামো নির্মাণে, শিক্ষা, স্বাস্থ্যে খরচ করা যায় তবে ২৫ বছরের কম বয়সী দেশের যুবকরাই নতুন ভারত গড়তে পারে। ওরাই জনসংখ্যার ৫২ শতাংশ।
ইয়েচুরি বলেন, দেশের নেতা দরকার নেই, দরকার নীতি। জনস্বার্থে নীতি প্রণয়ন এবং তা কার্যকর করতে হলে এবারের ভোটে এই মোদি সরকারকে পরাস্ত করতে হবে, একটি বিকল্প ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গড়তে হবে। আর সেই সরকারকে চাপ দিয়ে জনস্বার্থে কাজ করানোর জন্য সংসদে বামপন্থীদের শক্তি বাড়াতে হবে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.