লঙ্কানদের জন্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পরিস্থিতি ও চাপ সামলানো : ম্যাথুজ
শ্রীলঙ্কান জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ মনে করেন আসন্ন ২০১৯ সালের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে তার দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে চাপ সামাল দেয়া।১৯৯৬ সালের বিশ্ব চাম্পিয়ন এবং দুই বারের রানার্সআপ দলটি ওয়ানডে রাংকিংয়ের ৯ম অবস্থানে থেকে এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২২টি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচের অংশ নিয়ে মাত্র ছয়টিতে জয় পেয়েছে লঙ্কানরা। বেশ কয়েকজন সদস্য বেশ কিছু দিন সাইড লাইনে কাটনোর পরও সরাসরি জায়গা পেয়েছেন বিশ্বকাপ দলে। অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে নিজেও গত বিশ্বকাপের পর আর কোন ওয়ানডে ম্যাচে খেলেননি।
তবে অভিজ্ঞ ম্যাথুজের মতে লঙ্কান খেলোয়াড়রা যেন অতীত পিছনে ফেলে ‘বর্তমান মুহূর্তকে উপভোগ’ করেন।তিনি বলেন, ‘তাদের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে চাপ অতিক্রম করা। আমাদের দলের অনেক সদস্যেরই ইংল্যান্ডে খেলার অতীত অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই সেখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে তারা অবগত। তবে তাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পরিস্থিতি ও চাপ ভালোভাবে সামলানো।’
সর্বশেষ বহুদলীয় এই টুর্নামেন্টে লঙ্কান দলের নেতৃত্বে ছিলেন ম্যাথুজ। দলের প্রতি তার পরামর্শ হচ্ছে তারা যেন এমন পরিস্থি মোকাবেলা করে স্বাধীনভাবে নিজেদের মেলে ধরে। ম্যাথুজ বলেন, ‘এ ধরনের বড় টুর্নামেন্টে আপনাকে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে স্বাধীনভাবে খেলতে হবে। কোনভাবেই অতিরিক্ত চাপ নেয়া যাবে না। জানি এটি বিশ্বকাপ। এর শিরোপা জয়ের জন্য আপনাকে ভালো পারফর্মেন্স করতে হবে। তবে একইভাবে আপনাকে চ্যালেঞ্জও মোকাবেলা করতে হবে। আপনি যদি নিজের উপর বেশি চাপ নিয়ে নেন, সেটি আপনার জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। এ কারণে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেযার চেষ্টা করতে হবে। এটিকে পারফর্ম করার সুযোগ হিসেবে নিতে হবে, যার সাহায্যে নিজ দেশকে আরো ভালোভাবে উপস্থাপন করা যায়।’
ফিটনেস ও ফর্মহীনতার কারণে ৩১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার গত বছর লঙ্কান ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়েন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অনুশীলন ম্যাচে ৬৪ সহ সর্বশেষ ৫০ ওভারের ৫টি ম্যাচে অংশ নিয়ে দুটি হাফ সেঞ্চুরি ও একটি সেঞ্চুরি করে আবার ফর্মে ফিরেছেন ম্যাথুজ।সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ম্যাথুজ প্রাণবন্ত ব্যাটিং করে নতুন মাইলফলকে সৃষ্টি করেছেন। বিশেষ করে টেস্টে। সমালোচকদের দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছেন তিনি। তবে এই অলরাউন্ডারের মতে, বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেতে তার প্রমাণ করার কিছু নেই।
তিনি বলেন, প্রতিটি ম্যাচ হচ্ছে নিজের পারফর্মেন্সেকে শাণিত করার সেরা সুযোগ। আপনি যদি সেটি করতে পারেন, তাহলে দলও উপকৃত হবে।লঙ্কান ওডিআই ক্রিকেটে বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে লাসিথ মালিঙ্গার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ম্যাথুজের। মালিঙ্গা তরুণদের টপকে অভিজ্ঞতার কারণে স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন। ম্যাথুজ বলেন, ‘আমার লক্ষ্য হচ্ছে পারফরমেন্স করা এবং ধারাবাহিক হওয়া। এজন্য আমার নিজের প্রতি যত্নবান হতে হবে এবং অবশ্যই সেরাটা দিতে হবে। নিজের অভিজ্ঞতা তরুণদের শেয়ার করতে হবে যাতে তারা এবং দল উপকৃত হয়।’
আগামী ১ জুন কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে শ্রীলঙ্কা।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.