পাসের হার বাড়লেও প্রকৃত শিক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

স্বাধীনতার পর গেল ২৯ বছরে এসএসসিতে পাসের হার বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। জিপিএ-ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গিয়ে মেধার স্বাক্ষর ধরে রাখতে পারছে না বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। তাই পাসের হার বৃদ্ধিকে শিক্ষাখাতের ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখলেও শিক্ষাবিদরা বলছেন, জিপিএ ফাইভের পেছনে ছুটতে গিয়ে প্রকৃত শিক্ষা অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।১৯৯০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পাশের গড় হার ছিলো ৩১ দশমিক সাত তিন শতাংশ। আর ২০১৯ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৮২ দশমিক ২ শতাংশে। আর এই সময়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৬ লাখ।
গেল ২৯ বছরে শিক্ষাখাতের উন্নয়নে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো এসএসসি পরীক্ষায় সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করে সরকার। এর পরের বছর দেশের ইতিহাসে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাসের হার ৮০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। ক্রমান্নোতির এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে, উচ্চশিক্ষায় গিয়ে ঝরে পড়ছে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। শিক্ষাবিদরা বলছেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে অতিরিক্ত পরীক্ষার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুধু সার্টিফিকেট অর্জনের প্রবণতা বাড়ছে।শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে তাড়াহুড়ো করে শিক্ষাপদ্ধতি কিংবা সিলেবাসে পরিবর্তন না আনার পরামর্শ দিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড মোহাম্মদ কায়কোবাদ।অন্তত ২০ বছরের কথা চিন্তা করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নেরও পরামর্শ তাদের।
সূ্ত্র-সময়
Bangladeshi Taka Converter
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.