বরযাত্রীকে ৩ দিন আটকে রাখল পাত্রীপক্ষ, নেপথ্যে গাড়ি ভাড়া!

বিয়ে বাড়িতে বর-কনের পরিবারের ঝগড়া নতুন কিছু নয়। প্রায় অনেক বিয়ে বাড়িতেই এমন ঘটনা ঘটে। কিন্তু দুই পক্ষের এই বিবাদে বরসহ বরযাত্রীদের টানা ৩ দিন আটকে রাখল পাত্রীপক্ষ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আলিপুরদুয়ার জেলার পশ্চিম মাদারিহাটে ঘটেছে এই ঘটনা। পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে খবর পেয়ে তারা বর ও বরযাত্রীদের উদ্ধার করেছে। মাদারিহাট থানার ওসি অনির্বাণ মজুমদার বলেন, “পাত্র বা পাত্রীপক্ষের থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এই কথা শুনে আমরা সকলকেই উদ্ধার করেছি। লিখিত অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।”
পাত্রীর বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, “শুক্রবার বিদায়বেলায় আসবাবপত্রের গাড়ি ভাড়া নিয়ে যুদ্ধ বাধিয়ে দেয় পাত্রপক্ষ। আমার মেয়েকে ওরা মারতে উঠেছিল। আমরা আর ওই বাড়িতে মেয়ে দেব না। আমাদের মেয়েও ওখানে আর যাবে না। নিকাহ বাবদ যে টাকাটা পাত্রপক্ষকে দেওয়া হয়েছে সেটা আমরা ফেরত চাইছি। সেই টাকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত পাত্র ও তার সঙ্গীদের এখান থেকে ছাড়তে নিষেধ করেছেন আমাদের গ্রামের মানুষেরা।”
জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বসেছিল বিয়ের আসর। চার মাস আগে কোচবিহারের শুকটাবাড়ির নূর হোসেনের বড় ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিকির সঙ্গে পশ্চিম মাদারিহাটের আনোয়ার হোসেনের মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়েতে নগদ ৬০ হাজার টাকা দাবি করে পাত্রপক্ষ। সেইসঙ্গে দুই ভরি সোনার গয়না ও আসবাবপত্রও দাবি করে। পাত্রপক্ষের দাবি মতো প্রাথমিকভাবে নগদ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। বাকি ১৩ হাজার ৫০০ টাকা জোগাড় করতে না পারায় বলা হয়েছিল বিয়ের সাত দিনের মধ্যে তা দিয়ে দেওয়া হবে। মূল ঝামেলার শুরু সেই থেকেই।এই প্রসঙ্গে পাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমি বিয়ে করতে বসেছিলাম। কে কী করেছে তা আমি দেখিনি। ভুল কিছু হলেও হতে পারে। আমি সমস্যার সমাধান চাই। বউ নিয়ে বাড়ি ফিরতে চাই।” এই ঘটনায় পশ্চিম মাদারিহাটে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.