ইরানকে সতর্কবার্তা দিতে যুদ্ধজাহাজ পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র!
সম্প্রতি ইরানের সরকার পরিবর্তনের ইচ্ছা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মার্কিন কর্মকর্তারা ‘নিজেদের পছন্দের সরকার বেছে নিতে’ ইরানি জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত হামলা চালাতে সক্ষম একটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তার দাবি, ইরানের প্রতি ‘পরিষ্কার এবং নির্ভুল বার্তা’ দিতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবৃতিতে বোল্টন বলেন, হামলা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার হুমকি ও সংকেত পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন এবং বোমাবর্ষণে সক্ষম একটি বিশেষ টাস্কফোর্স ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে।
বোল্টন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো স্বার্থ বা তাদের মিত্রের ওপর কোনো ধরনের হামলা চালানো হলে কঠোর জবাব দেয়া হবে। সেটা ইরানের বিপ্লবী বাহিনী, দেশটির নিয়মিত নিরাপত্তা বাহিনী কিংবা অন্য কোনো বাহিনী হোক।
এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আসন্ন যুদ্ধের কোনও আশংকা নেই; তবে বিশেষ কোনও দুর্ঘটনার কারণে সামরিক সংঘাত বেঁধে যেতে পারে। ব্রিটিশ অনলাইন সংবাদপত্র ইন্ডিপেন্ডেন্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ আশংকার কথা ব্যক্ত করেন তিনি। নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দফতরে ইরানি স্থায়ী মিশন থেকে এ সাক্ষাৎকার দেন জারিফ।
তিনি বলেন, ইরান এবং আমেরিকার মধ্যে আসন্ন যুদ্ধের কোনও আশংকা নেই তবে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং এর ফলে বেঁধে যেতে পারে সামরিক সংঘাত। কি ধরণের দুর্ঘটনার কারণে এমন যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে বলে জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। জবাবে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসিকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংস্থার কালো তালিকাভুক্ত করার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন তিনি।
পারস্য উপসাগর এবং কৌশলগত পানিপথ হরমুজ প্রণালী দিয়ে যাতায়াতকারী জাহাজগুলোর সঙ্গে আইআরজিসি’র গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ঘাটতির কারণে এ জাতীয় সংঘাত ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তিনি।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.