আবারও ফেঁসে যাচ্ছেন সাইফ, সোনালি, টাবু ও নীলম

বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রী, যারা রাজস্থানের কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় যুক্ত ছিলেন তাদের নতুন করে নোটিশ দেওয়া হলো। ফলে বিপাকে পড়লেন সাইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে, নীলম ও টাবু। ১৯৯৮ সালে 'হাম সাথ সাথ হ্যায়' ছবি শ্যুটিং করতে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে।রাজস্থান হাইকোর্টের পক্ষ থেকে নতুন করে নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১১ মে এই নোটিশ জারি করা হয়। বলা হয় মামলার শুনানি হবে নোটিশ ইস্যু হওয়ার ৮ সপ্তাহ পরে। বণ্যপ্রাণ (সংরক্ষণ) আইনের ১১ নম্বর ধারায় এদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারকের কাছে শুনানি হতে চলেছে।
গতবছর জানুয়ারি মাসেই নতুন করে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলার অভিযুক্ত অভিনেতাদের। অস্ত্র আইন থেকে নিষ্কৃতি পেলেও বন্য প্রাণী হত্যা মামলায় যোধপুর আদালতে হাজির হন সালমান, সাইফ, নীলম, সোনালি বেন্দ্রে ও আরও একজন। সুরজ বরজাতিয়ার ছবি ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন রাজস্থানের কঙ্কোনি গ্রামে এক কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করায় জড়িয়ে পড়েন এই তারকারা। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় মামলা।বলা হয়, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সালমান খান দেশের বাইরে যেতে গেলে আলাদা করে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। তবে সালমানের আইনজীবী আবেদন জানান, তার মক্কেলকে যেন বিদেশে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তবে সেখানেও বাধা দেন সরকারি পক্ষের আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী দুলানি ১৯৯৮ সালে ঘটনার দিন সালমান খানের গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তার বয়ানের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে ওঠে গোটা মামলা। বয়ানে দুলানি জানান, সালমান খানই শিকার করেন চিঙ্কারা। কিন্তু তারপর আদালত থেকে তাকে একাধিকবার সমন পাঠালেও তিনি অনুপস্থিত থাকেন। মামলার শুনানি চলাকালীনও আদালতে দেখা যায়নি তাকে।শেষে মূলত তার অনুপস্থিতির কারণেই রাজস্থান হাইকোর্ট সলমনকে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়। রাজস্থানের কঙ্কনি গ্রামে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেছিলেন সালমান খান। মামলাটি ট্রায়াল কোর্টে পৌঁছায়। তারপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই মুহূর্তে যোধপুর আদালতে মামলা চলছে।
Bangladeshi Taka Converter
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.