সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    শেকল বন্দি ১৫ বছর

    pa-badha-ranu-somoy

    যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমাজ এগিয়ে গেলেও এখনো প্রতিবন্ধী সন্তানের যত্ন ও চিকিৎসা অবহেলিতই রয়ে গেছে। কখনো কুসংস্কার আবার কখনো দরিদ্রতায় পরিবারের বোঝা হয়েই শেষ হচ্ছে সম্ভাবনাময় জীবন। এমন একজন জয়পুরহাটের ২০ বছর বয়সী বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী। গত ১৫ বছর ধরে পা বেঁধে রাখা হয়েছে শেকলে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা না করায় এখন সে মানসিক ভারসাম্যহীন। সময় সংবাদের ক্যামেরা পৌঁছানোর পর প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দেয়া হলো সুচিকিৎসার আশ্বাস।কোনো অপরাধী নন তবুও শেকলে বাধা রানু, সে একজন কিশোরী বাক প্রতিবন্ধী এবং মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।

    দরিদ্রের কষাঘাতে দিনে দিনে যিনি বোঝায় রূপান্তরিত হয়েছেন পরিবারের কাছে। উন্নত চিকিৎসা তো দূরের কথা কবিরাজী ঝাড়ফুঁক আর কুসংস্কারে দিনকে দিনকে উন্মাদে পরিণত হচ্ছেন রানু।এলাকাবাসীদের একজন বলেন, 'আমি ছোট থেকেই দেখে আসছি এরকম শিকলে বাধা অবস্থায়।' রানুর বোন বলেন, 'বিত্তবানরা যদি একটু সাহায্য করতো তাহলে বোনকে চিকিৎসা করাতে পারতাম।' জয়পুরহাটের সদর উপজেলার দোঁগাছী ইউনিয়নের জিতারপুর গ্রামের বাসিন্দা রানু। ষাটোর্ধ বাবা আব্দুর রহিম একসময় কাজ করতেন ইট ভাটায়। দুই মেয়েসহ চারজনের পরিবারের দুবেলা দুমুঠো খাবার জোটাতেই এখন হিমশিম খাচ্ছেন আব্দুর রহিম। রানুর বাবা বলেন, 'একচোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে নিজেই ভাত পাচ্ছি না। কিভাবে মেয়ের চিকিৎসা করবো।' জয়পুরহাট ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সরদার রাশেদ মোবারক জানান, চিকিৎসা এগিয়ে নিতে সহায়তা করা হবে রানুর পরিবারকে। ১৫ বছর ধরে শেকলে বেধে রেখেই চলছে রানুর চিকিৎসা।

    সূত্র- সময়

    দয়া করে শেয়ার করে গরীব পরিবারটিকে সহায্যের ব্যবস্থা করে দিন। 

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !