সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    ইরানের ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র ধ্বংস করে দিতে মার্কিন ২০ ক্ষেপণাস্ত্র

    ইরানের ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র ধ্বংস করে দিতে মার্কিন ২০ ক্ষেপণাস্ত্র

    উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অণুতরঙ্গের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া ও ইরানের সামরিক ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র পর্যুদস্ত করে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী অন্তত ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। এতে কোনো হতাহত ছাড়াই ওই দুই দেশের সামরিক সক্ষমতা অকার্যকর করে দিতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।-খবর ডেইলি মেইলের

    মার্কিন বিমান বাহিনীর গবেষণাগারের জন্য কাউন্টার ইলেক্ট্রনিকস হাই পাওয়ার মাইক্রোওয়েক অ্যাডভানসড মিসাইল প্রজেক্ট(সিএইচএএমপি) নামে পরিচিত এই ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করেছে বোয়িং ফ্যানটাম ওয়ার্ক। ২০১২ সালে এটির সফল পরীক্ষা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ক্ষেপণাস্ত্র কোনো কাজে লাগানো হয়নি।বিমান থেকে ছোড়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রে এই অণুতরঙ্গ অস্ত্র বসানো হয়। বি-৫২ বোমারু বিমান থেকেও এটার ব্যবহার করা যাবে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার আওতা সাতশ মাইল।

    খুবই কম উচ্চতা দিয়ে এটি শত্রুপক্ষের আকাশপথে ঢুকে পড়তে পারবে। এরপর উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অণুতরঙ্গ(এইচপিএম) জ্বালানি নির্গমণ করে শত্রুপক্ষের কম্পিউটার চিপস দগ্ধ করার সক্ষমতা রয়েছে এটির। এতে মুহূর্তেই যেকোনো ইলেক্ট্রনিকস ডিভাইস অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে।কিরটল্যান্ড বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে বিমান বাহিনীর উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন অণুতরঙ্গ বিভাগের প্রধান ম্যারি লোউ রবিনসন বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র এখন অভিযানের জন্য প্রস্তুত। তারা এখন যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে পারবে।

    ২০১২ সালে এইচপিএম সমৃদ্ধ একটি ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষা চালানোর পর মার্কিন বিমান বাহিনী গোপনে এই প্রকল্প আরও আধুনিকায়ন করেছে।পরীক্ষার সময় উটাত টেস্ট অ্যান্ড ফায়ারিং রেঞ্জে দুই তলা ভবনের ওপর দিয়ে সিএইচএএমপি ক্ষেপণাস্ত্র উড্ডয়ন করেছে।বোয়িংয়ের সিএইচএএমপির কর্মসূচির ব্যবস্থাপক কেইথ কোলম্যান বলেন, এটি দিয়ে আমরা যেখানে চাই, সেখানেই হামলা চালাতে পারবো। আজ আমরা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীকে বৈজ্ঞানিক বাস্তব ঘটনায় পরিণত করলাম।

    সফলভাবে পরীক্ষার পর এটির কথা প্রথম প্রকাশ করা হয়। তখন কিছু বাণিজ্যিক পত্রিকায় এ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে প্রতিবেদন হয়েছিল।এইচপিএমের সৌন্দর্য হচ্ছে, এটির অণুতরঙ্গ রশ্মি বাংকারের ভেতরেও ঢুকে পড়তে পারবে। ভেতরের লোকজনকে ক্ষতি না করেই এটি তার কাজ চালিয়ে যেতে পারবে।এমনকি বাংকারটি যদি পাহাড়ের ভেতরেও স্থাপন করা হয়, তবে বৈদ্যুতিক কেবল, যোগাযোগ লাইন ও অ্যান্টেনার সংযোগের মাধ্যমে ভেতরে স্থাপনাকে অকার্যকর করে দিতে পারবে এই ক্ষেপণাস্ত্র।এভাবে ভূগর্ভস্থ যেকোনো স্থাপনায় ঢুকে সেখানকার সামরিক স্থাপনা ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ধ্বংস করে দিতে পারবে এটি।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !