সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    গ্রামীণফোনের কলরেট ও ইন্টার কানেকশন চার্জ বাড়লো

    Image result for গ্রামীন ফোন

    দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের জন্য দুঃসংবাদ। তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাধর বা এসএমপির বিধিনিষেধের আওতায় গ্রামীণফোনের সর্বনিম্ন কলরেট ৫ পয়সা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এর ফলে সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সার কলরেট এখন হবে ৫০ পয়সা। কলরেট বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গ্রামীণফোনের ইন্টার কানেকশন বা আন্তঃসংযোগ চার্জও বাড়ানো হয়েছে।মঙ্গলবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল বিটিআরসিতে এক সভায় এসএমপির কারণে গ্রামীণফোনের কলরেট বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। কলরেট বাড়ানোর বিষয়টি গ্রামীণফোনকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে সংস্থাটি।

    কলরেট বৃদ্ধির বিষয়ে ১৮ এপ্রিল যুগান্তর অনলাইনে ‘গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য দুঃসংবাদ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেখানে জানানো হয়, ১৭ এপ্রিলের বৈঠকে গ্রামীণফোনের সেবার মান বাড়ানোর দাবির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুবা নতুন গ্রাহক পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের বাধার মুখে পড়তে হতে পারে। এসএমপি ঘোষণার পর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোনের ওপর চারটি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ইতিমধ্যে যা আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছে অপারেটরটি।গ্রামীণফোনকে ১ মার্চ থেকে এসব বিধিনিষেধ মেনে চলতে বলেছে বিটিআরসি। যাতে পণ্য ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যেকোনো বিশেষ চুক্তি সইয়ে প্রতিষ্ঠানটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বর্তমানে কেবল গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য নতুন সেবার প্রস্তাব দিতে পারে কোনো প্রতিষ্ঠান, এ রকম কোনো চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসতে অন্য অপারেটরদের নিষেধ করা হয়েছে।

    গ্রামীণফোনের কলড্রপ ২ শতাংশের বেশি হতে পারবে না বলেও বিধিনিষেধে বলা হয়েছে। বিটিআরসির প্রতিবেদন বলছে, গত ৬ থেকে ৮ নভেম্বর গ্রামীণফোনের কলড্রপ ছিল ৩.৩৮ শতাংশ, যা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অনেক বেশি। আধিপত্য বজায় রাখতে গ্রামীণফোনকে দেশজুড়ে বিজ্ঞাপন প্রচার না করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নম্বর পরিবর্তন না করে অন্য অপারেটরে ব্যবহারের সেবা (এমএনপি) সুবিধার আওতায় গ্রামীণফোন ছাড়তে গ্রাহকদের সহজ করে দেয়া হয়েছে।বর্তমানে যদি কোনো গ্রাহক একটি নেটওয়ার্ক ছাড়তে চান, তবে তাদের ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু একই গ্রাহক মাত্র ৩০ দিনের মাথায় গ্রামীণফোন ছাড়তে পারবেন। কিন্তু আদালতের রায় গ্রামীণফোনের অনুকূলে আসায় চারটির মধ্যে তিনটি বিধিনিষেধই মানতে হচ্ছে না। কেবল বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে অপারেটরটির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে। বৈঠকে গ্রামীণফোনের নিরীক্ষা ইস্যুতে আরও কঠোর হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

    প্রতিবেশী ভারত-পাকিস্তানসহ বিশ্বের বহু দেশে কোনো অপারেটর বাজারের একটি বড় অংশ শেয়ারের নিয়ন্ত্রণ করলেই সেটিকে এসএমপি ঘোষণা করা হয়।বিটিআরসির প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে- খুচরা মোবাইল সেবাসংশ্লিষ্ট বাজারের নির্ণায়কসমূহ তথা গ্রাহক সংখ্যা, অর্জিত রাজস্ব ও কমিশন কর্তৃক বরাদ্দকৃত তরঙ্গ- এই তিনটি নির্ণায়কের মধ্যে কোনো মোবাইল অপারেটর ন্যূনতম একটিতে মোট বাজারের অন্তত ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করলেই সেটিকে এসএমপি হিসেবে নির্ধারণের বিধান রয়েছে।এর মধ্যে গ্রাহক সংখ্যা ও রাজস্ব আয়ের দিক থেকে এসএমপির শর্তের মধ্যে পড়েছে গ্রামীণফোন। সে অনুসারে গত ফেব্রুয়ারিতে গ্রামীণফোনকে দেশের প্রথম এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বাজারে গ্রামীণফোনের রাজস্ব শেয়ার ৫০ শতাংশ ও গ্রাহক ৪৭ শতাংশের বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।

    এ ব্যাপারে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, কলরেটের ওপর নিয়ন্ত্রণারোপ ছাড়া কেউ তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। কিন্তু কী পরিমাণ রেট বাড়ানো হবে, তা এখনও আমরা চূড়ান্ত করিনি। বর্তমানে যেকোনো মোবাইল অপারেটরের সর্বনিম্ন কলরেট হচ্ছে মিনিটে ০.৪৫ টাকা। মূল্য সংযোজন ও অন্যান্য কর যোগ করলে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ০.৫৪ টাকা।তবে বাজারের গড় কলরেটের চেয়ে গ্রামীণফোনেরটা এমনিতেই বেশি। বাজারের গড় কলরেট হচ্ছে ০.৭০ টাকা। সে ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের ডেটা বা উপাত্ত চার্জ বাড়ানো হতে পারে।গ্রাহকদের দণ্ডিত করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মোস্তাফা জব্বার বলেন, নম্বর পরিবর্তন না করে অন্য অপারেটরের সেবা নেয়ার সুযোগ আমাদের আছে। কাজেই যদি গ্রাহক মনে করেন, এটির কলরেট গ্রহণযোগ্য নয়, তবে সহজেই তারা অন্য নেটওয়ার্ক বেছে নিতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

    কলরেট বৃদ্ধির বিষয়ে কথা জানতে যোগাযোগ করা হলে গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন্স কমিউনিকেশন্স সৈয়দ তালাত কামাল বলেন, এসএমপি বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো যোগাযোগ হয়নি। আমরা এ বিষয়ে প্রযোজ্য আইন যেমন: প্রতিযোগিতা আইন ও আন্তর্জাতিকভাবে সর্বোত্তম অনুশীলন, এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক কর্মকাঠামোর পক্ষে।তিনি বলেন, যেখানে আধিপত্য কিংবা যৌথ আধিপত্যের অপব্যবহারের কোনো প্রমাণ নেই; সেখানে এমন নির্দেশনার মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও বিনিয়োগের সক্ষমতা সীমাবদ্ধ করে দেয়া উচিৎ নয়।

    সূত্র- যুগান্তর 

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !